টিকটক, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা ইউটিউব খুললেই এখন চোখে পড়ছে একটাই দৃশ্য— অন্ধকার ঘরে পানিভর্তি স্বচ্ছ গ্লাস, তার নিচে মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট আর গ্লাসের পানিতে ধীরে ধীরে পড়ছে গুঁড়া হলুদ। আর সেই মুহূর্তে আবহসংগীত হিসেবে বাজছে শাহরুখ খানের বিখ্যাত গান ‘ম্যায় আগার কাহু’। এই ট্রেন্ডটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘টিংকারবেল টারমারিক ট্রেন্ড’, যা গত কয়েক দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে।
কোথা থেকে শুরু?
১৪ জুন, মালয়েশিয়ার কনটেন্ট ক্রিয়েটর পুষ্পা গোমেন প্রথম এই ভিডিওটি পোস্ট করেন টিকটকে। ভিডিওতে দেখা যায়, প্রায় অন্ধকার ঘরে তিনি পানিভর্তি গ্লাসে গুঁড়া হলুদ ঢালছেন। গ্লাসের নিচে মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বলছে। হলুদ গুঁড়া পানিতে মিশে ছড়িয়ে পড়ছে এক রূপকথার মতো আলোকচ্ছটা। সঙ্গে বাজছে ‘ম্যায় আগার কাহু’র সুর। উপস্থিত সবাই বিস্ময়ে অভিভূত।
এই ভিডিওটির ভিউ সংখ্যা তিন কোটি ছাড়িয়েছে! এরপর থেকেই শুরু হয় সারা বিশ্বজুড়ে ‘হলুদের জাদু’। বাংলাদেশি কনটেন্ট ক্রিয়েটর ‘আর্টফুল শতাব্দী’ এই ট্রেন্ড নিয়ে একটি ভিডিও টিউটোরিয়াল প্রকাশ করেন, যার ভিউ ইতিমধ্যেই কয়েক লাখ ছাড়িয়েছে। ভিডিওতে শতাব্দী দেখিয়েছেন, কীভাবে একটি গ্লাস, পানি, মোবাইলের ফ্ল্যাশ, সামান্য গুঁড়া হলুদ এবং ‘ম্যায় আগার কাহু’ গান ব্যবহার করে সহজেই এই ট্রেন্ডিং ভিডিও তৈরি করা যায়।
কেন এত জনপ্রিয়?
‘টিংকারবেল টারমারিক ট্রেন্ড’ বিষয়টি কোনো জটিল বিজ্ঞানের ফল নয়— বরং পুরোপুরি ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট এবং আবেগের সংমিশ্রণ। পানিতে গুঁড়া হলুদের ধীরে ধীরে মেশা এবং ফ্ল্যাশলাইটে উদ্ভাসিত রঙের আভা তৈরি করে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। ‘ম্যায় আগার কাহু’র সুর সেই মুহূর্তকে আরও আবেগঘন করে তোলে। এই দৃশ্য ও আবহের মিশেলেই জন্ম নিচ্ছে রোমান্টিক, নির্দোষ আনন্দময় মুহূর্ত, যা শিশু থেকে বৃদ্ধ— সব বয়সী দর্শকদের আকৃষ্ট করছে।
দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়া
মালয়েশিয়া থেকে শুরু হওয়া এই ট্রেন্ড ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও। শুধু টিকটক নয়— ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবেও ছড়িয়ে পড়েছে হাজার হাজার ভিডিও। ইউটিউবে এখন পাওয়া যাচ্ছে এই ট্রেন্ড নিয়ে রিঅ্যাকশন ভিডিও, টিউটোরিয়াল ও মিম সংস্করণ।
বিডি-প্রতিদিন/শআ