ডার্মাটোলজিস্টদের ভাষ্য, সঠিক খাবার, নিউট্রিয়েন্ট বয়সজনিত পরিবর্তন থেকে ত্বককে দীর্ঘদিন সুরক্ষিত রাখে...
অনেকেই মসৃণ উজ্জ্বল ত্বক চায়। অনেক সময় নিয়মিত যত্ন আর নামিদামি কসমেটিকস ব্যবহারও তা নিশ্চিত করে না। তবে ত্বক ঠিক রাখতে খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম আর স্স্থুতা ভীষণভাবে জড়িত। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিউট্রেশন। জেনে নিন কী কী...
♦ ‘ভিটামিন এ’-এর ঘাটতি হলে ত্বক আর্দ্রতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। ফলে সেল রিপেয়ারিং ক্ষমতাও কমে আসে এবং ত্বক ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়। কডলিভার অয়েল, ব্রকোলি, আম, পেঁপে, গাজর, কচু, পার্সলে, সবুজ শাক, কুমড়ো, চেরি ও ডিমের কুসুম এই ভিটামিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস, যা ডায়েটে রাখা জরুরি।
♦ ‘ভিটামিন সি’ ফ্রি-র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে ত্বকের প্রধান অস্ত্র। এটি ত্বকের কোলাজেন এবং ইলাস্টিন তৈরিতে সাহায্য করে। ফলে শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি থাকলে ত্বক নিজেই সমস্যা মোকাবিলা করতে সক্ষম। পেয়ারা, ব্ল্যাক কারেন্ট, পার্সলে, কিউয়ি, স্ট্রবেরি, পালংশাক, কমলালেবু, বাঁধাকপি, পেঁপে, বিন স্প্রাউট ইত্যাদি ভিটামিন সি-এর খুব ভালো উৎস।
♦ ‘ভিটামিন বি-কমপ্লেক্সের অভাবে বলিরেখা, ফাইন লাইনস ইত্যাদি ফুটে ওঠে। ত্বক শুষ্ক, অমসৃণ এবং নির্জীব হয়ে ওঠার নেপথ্যেও এই ভিটামিনের অভাব থাকতে পারে। হোলগ্রেন, বাদাম বা স্প্রাউটস খেলে শরীরে এই ভিটামিনের অভাব পূরণ করতে পারেন।
♦ ‘ভিটামিন ই’ হুইট জার্ম, স্যাফ্লাওয়ার সিড, তিল তেল, সূর্যমুখীর বীজ, আখরোট, এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, সয়াবিন ইত্যাদিতে ভিটামিন ই রয়েছে। এগুলো স্ট্রেস থেকে হওয়া বলিরেখা, ফাইন লাইনস ইত্যাদি প্রতিরোধ করতে কার্যকরী। এটি ফ্রি-র্যাডিক্যাল থেকে হওয়া ক্ষতির বিরুদ্ধে কোষ প্রাচীরকে সুরক্ষা দেয় এবং ত্বককে করে আরও তরুণময়।
♦ ‘জিঙ্ক’ ত্বকে নতুন কোষ তৈরি করতে অত্যাবশ্যক। এটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এনজাইম তৈরি করে ফ্রি-র্যাডিক্যাল নষ্ট করে থাকে। বাদাম এবং বীজে এই জিঙ্ক পাওয়া যায়।
♦ ‘গামা লিনোলেয়িক অ্যাসিড’ বা জিএলএ শরীরের অন্যতম প্রধান এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বককে মসৃণ এবং কোমল রাখার জন্য দায়ী। শরীরের বয়স যত বাড়ে, তত জিএলএ-এর উৎপাদন কমতে শুরু করে বলে ত্বক শুষ্ক হতে শুরু করে। এই ফ্যাটি অ্যাসিডের একমাত্র উৎস ইভনিং প্রিমরোজ অয়েল। না পেলে সাপ্লিমেন্টও নিতে পারেন।
আর হ্যাঁ, সবশেষে প্রত্যেকেরই প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
তথ্যসূত্র : সানন্দা
বিডি প্রতিদিন/এমআই