বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকা-জেদ্দার একটি ফ্লাইট মঙ্গলবার রাতে জেদ্দা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইটের পাইলট ক্যাপ্টেন মুনতাসির রহমান উড়োজাহাজ থেকে নেমে ইমিগ্রেশনের দিকে এগিয়ে যান। জেদ্দা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে তিনি পকেট থেকে তার পাসপোর্ট বের করে দেন। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা পাসপোর্টের পাতা উল্টিয়ে দেখলেন একজন মহিলার ছবি। তিনি পাসপোর্টটি ফিরিয়ে দিয়ে বলেন, আপনার পাসপোর্ট দিন। একথা শুনে আকাশ থেকে পড়লেন মুনতাসির মামুন। পাসপোর্টটি তিনি ফিরিয়ে নিয়ে দেখতেই মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। পাসপোর্টটি তার নয়, এটি তার মায়ের পাসপোর্ট। নিজের ভেবে মায়ের পাসপোর্ট নিয়েই ঢাকা-জেদ্দার ফ্লাইট নিয়ে যাত্রা করেন তিনি। এনিয়ে জেদ্দা ইমিগ্রেশনে তুলকালাম শুরু হয়।
বিমানের একটি সূত্র বলেছে, পাসপোর্ট ছাড়া ফ্লাইটে ওঠায় জেদ্দা বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিছু সময় তাকে আটকেও রাখা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বোশরা ইসলাম জানান, বুধবার সকালে বিমান কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তাকে বিমানবন্দর থেকে হোটেলে নেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যার ফ্লাইটে ক্যাপ্টেন মুনতাসিরের পাসপোর্ট পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর আগে, ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ পতিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্লাইট পরিচালনার সময় দোহায় আটক হন। তখনো তিনি পাসপোর্ট ছাড়া ফ্লাইট পরিচালনা করেছিলেন এবং পরে অন্য ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন। অপর এক ঘটনায়, গত ৩১ জানুয়ারি ক্যাপ্টেন এনাম ঢাকা-লন্ডন রুটে মেয়াদোত্তীর্ণ আইডি কার্ড নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করায় হিথরো বিমানবন্দরে আটক হন। তাকে পরে বিমানের ফ্লাইটে ফেরত পাঠানো হয়।