চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একসঙ্গে ৯ জন নার্স ও মিডওয়াইফকে বদলি করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর এ আদেশ জারি করে। হঠাৎ এই বদলিতে হাসপাতালের অন্তর্বিভাগীয় (ইনডোর) সেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি পৃথক কয়েকটি পত্রে এ বদলি ও সংযুক্তির অফিস আদেশ দেয় নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর। তবে এর বিপরীতে মাত্র একজন নার্সকে বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন করে যোগদানের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাফরিন জাহেদ জিতি বলেন, ৫০ জন রোগীর জায়গায় প্রতিদিনই হাসপাতালে ৮০ থেকে ১০০ জন ভর্তি থাকেন। ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী থাকা সত্ত্বেও নার্সের সংখ্যা অপ্রতুল। এর মধ্যে একসঙ্গে ৯ জন বদলি ও সংযুক্তির ফলে অন্তর্বিভাগীয় সেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হবে। এমনিতেই রোগীদের সার্বক্ষণিক সেবা দিতে গিয়ে কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনুমোদিত সিনিয়র স্টাফ নার্সের পদ ২৯টি এবং মিডওয়াইফ (ধাত্রী) পদ ১০টি। বর্তমানে কর্মরত আছেন ২৪ জন নার্স ও ৪ জন মিডওয়াইফ। এর মধ্যে ৫ জনকে বদলি এবং ৪ জনকে সংযুক্তির আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২ জন প্রশিক্ষণ কোর্সে এবং একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন।
৫০ শয্যার এ হাসপাতালে নারী, পুরুষ ও শিশু ওয়ার্ড রয়েছে। প্রতিদিন নির্ধারিত বেডের চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হন। নিয়মিতভাবে এখানে নরমাল ও সিজারিয়ান ডেলিভারি, নাক-কান-গলা এবং অর্থোপেডিক সার্জারি হয়ে থাকে। তবে নার্স ও মিডওয়াইফ সংকট তীব্র আকার ধারণ করলে এসব গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল