ফুটবল খেলা নিয়ে তর্কের জেরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বিভাগের শিক্ষার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উপাচার্য ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলমসহ ১৪ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনকে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোলা সড়কে বিটাক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিটাক ভবনের মাঠে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১২ ব্যাচের একদল শিক্ষার্থীর মার্কেটিং বিভাগের দশম ব্যাচের এক সিনিয়র শিক্ষার্থীর সঙ্গে ফুটবল খেলা নিয়ে তর্ক হয়। এ সময় ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র শিক্ষার্থীকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন। সিনিয়র শিক্ষার্থী বিষয়টি তাদের ব্যাচের গ্রুপে দেন। তার কয়েক সহপাঠী বিষয়টি জানতে ওই মাঠে গেলে তাদের মারধর করা হয়। এতে মার্কেটিং বিভাগের তিন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে দুজনকে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনার পর মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। অন্যদিকে অ্যাকাউন্টিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিটাক ভবন এলাকায় জড়ো হন। পরে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিটাক ভবনের দিকে গেলে মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে আরও অন্তত ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় ইটের আঘাতে আহত হন তিনি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল এবং সহকারী প্রক্টর আলমগীর হোসেন দুই বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহত মার্কেটিং বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তাক আহম্মেদ জানান, তারা গ্রুপে একটা মেসেজ দেখে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন ফয়সালকে মারধর করছে। ছাড়াতে গেলে তাকেও ঘিরে ধরে। পরে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা মীমাংসায় বসার জন্য প্রস্তুত। তবে এ ঘটনায় তারা কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল জানান, উভয় পক্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তারা দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের শান্ত করেছেন।