জীবন রক্ষাকারী ওষুধের লাগামহীন দামে ফতুর হয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা। গত দেড় বছরে কোনো কোনো ওষুধের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। কার্যকর তদারকির অভাবে চরম স্বেচ্ছাচারিতা চলছে দেশের ওষুধবাণিজ্যে। ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তি দাম নিচ্ছে অনেক ফার্মেসি। কোম্পানি ও ফার্মেসি পর্যায়ে ওষুধের দাম বৃদ্ধির লাগাম টানতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করছেন ক্রেতারা। তাদের আক্ষেপ-দ্রব্যমূল্য বাড়লে খাবারে কাটছাঁট করা যায়। কিন্তু জীবন রক্ষাকারী ওষুধের বেলায় কোনো কাটছাঁট চলে না। পুরো ডোজ শেষ করতে হয়। এতে খাবার কম খেলেও ওষুধ বাদ দেওয়া যায় না। ওষুধের হেরফের হলে অসুখের মাত্রা বেড়ে যায়। এদিকে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী ওষুধের মূল্য সরকার নির্ধারণ করবে বলে রায় দিয়েছেন হাই কোর্ট। রায়ে আদালত বলেছেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষ ওই মূল্য নির্ধারণ করে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করবে। সাত বছর আগে করা একটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ সম্প্রতি এ রায় দেন।
ওষুধের দাম বাড়ায় রোগীর চিকিৎসা ব্যয় আরও বাড়ছে। ক্রেতারা বলছেন, খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় খাবারে কাটছাঁট করা যায় কিন্তু ওষুধের দাম বাড়ায় সেটা তো কম খাওয়া চলে না। প্রতিবেশী দেশগুলোর কোথাও এমন লাগামহীন ওষুধের মূল্য বৃদ্ধির সুযোগ নেই। বাংলাদেশে দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে বছর বছর ওষুধের দাম বাড়ছে। ওষুধের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধিকে দায়ী করছে ওষুধশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। পাশাপাশি ডাক্তারদের বাড়ি, গাড়ি, বিদেশভ্রমণ, নগদ অর্থ প্রদান এবং মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ নামে হাজার হাজার পেশাজীবীর পেছনের ব্যয় সমন্বয় করতেই ওষুধের দাম বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলো। গত এক বছরে প্রকারভেদে ২০-৬৬ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু ফার্মেসি পর্যায়ে ওষুধের দাম বাড়ানোর প্রভাবটা আরও অনেক বেশি। বর্তমানে দেশে ৩১০টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিশ্ববাজারে সুনাম অর্জনকারী বাংলাদেশের ওষুধ দেশের ৯৮ ভাগ চাহিদা পূরণ করে এবং ১৫৭ দেশে রপ্তানি হয়। অথচ নিজ দেশেই কার্যকর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে ওষুধের বাজার প্রায় ৩০-৩৫ হাজার কোটি টাকার। কোম্পানিগুলো ৪ হাজার ১৮০ জেনেরিকের ৩৫ হাজার ২৯০ ব্র্যান্ডের ওষুধ উৎপাদন করে। এর মধ্যে প্রাইমারি হেলথকেয়ারের ১১৭ জেনেরিকের ওষুধের মূল্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে। বাকিগুলো ওষুধ কোম্পানি মূল্য নির্ধারণ করে ভ্যাটসহ অনুমোদনের জন্য ঔষধ প্রশাসনের কাছে পাঠায়। মূল্য নির্ধারণ কমিটি এগুলো যাচাইবাছাই করে দাম বাড়ায়। ওষুধ কোম্পানিগুলোর আগ্রাসি মার্কেটিংয়ের প্রভাবও পড়ে ওষুধের দামে। কাঁচামালের দাম বাড়ার বিষয় উল্লেখ করে প্রতিটি ওষুধ কোম্পানি অধিকাংশ ওষুধের দাম বাড়িয়ে নিয়েছে। পুরান ঢাকার মিটফোর্ডকেন্দ্রিক বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির পরিচালক জাকির হোসেন রনি বলেন, ‘ওষুধ কিনতে এসে ক্রেতারা আমাদের জিজ্ঞাসা করেন দাম কেন বেশি? কিন্তু দাম তো ফার্মেসি মালিকরা বাড়াননি, বাড়িয়েছে কোম্পানি। এমআরপি রেট বাড়ালে আমাদের করার কিছুই থাকে না। ঔষধ প্রশাসনের উচিত ওষুধের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে অন্য সবকিছুর সঙ্গে বাজার ও ভোক্তার কথা মাথায় রাখা।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়, চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে বাংলাদেশের ২৪ শতাংশ মানুষ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ছে। শুধু চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রতি বছর ৬২ লাখের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে। ১৬ শতাংশ খানা (এক পাকে খাবার খায় এমন পরিবার) বিনা চিকিৎসায় থাকছে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টস’-এর হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে দেশের মোট স্বাস্থ্যব্যয়ের প্রায় ৬৯ শতাংশ ব্যক্তির পকেট থেকে খরচ করতে হয়, টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৫৪ হাজার কোটি। আর এ স্বাস্থ্যব্যয়ের ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশই খরচ হয় ওষুধ কেনা বাবদ, টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। মোট কথা ওষুধ কিনতে গিয়ে ফতুর হচ্ছে দেশের কোটি কোটি মানুষ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক ড. মো. আনোয়ার খসরু পারভেজ বলেন, ‘দেশের শীর্ষ ছয় প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত ২৩৪টি জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, নির্ধারিত দরের চেয়ে বাজারে অনেক ওষুধ বেশি দামেও কেনাবেচা চলছে। এ ক্ষেত্রেও দাম বাড়ানোর অজুহাত হিসেবে কোম্পানিগুলো বলেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, ডলারসংকট, এলসি জটিলতা, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোসহ সরবরাহ সমস্যা, মোড়ক, পরিবহন, বিপণন ব্যয় বৃদ্ধি ইত্যাদি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আকস্মিক দাম বাড়ালে অনেক রোগী ওষুধ কিনতে পারবে না। আর ডোজ সম্পূর্ণ না করলে শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। দাম নিয়ন্ত্রণে ঔষধ প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই।’
দাম বেড়েছে সব ওষুধের : রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন ফার্মেসিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত দেড় বছরে সব ধরনের ওষুধের দাম বেড়েছে। অ্যাজিথ্রোমাইসিন প্রতি পিস ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা হয়েছে। ভিটামিন বি১ বি৬ বি১২-এর প্রতি পিসের দাম ৭ টাকা থেকে দুই ধাপে বাড়িয়ে ১০ টাকা হয়েছে। ইসমিপ্রাজলের প্রতি পিসের দাম ৫ টাকা থেকে ৭ টাকা হয়েছে। লোসারটান পটাশিয়াম ৫০ মিলিগ্রামের প্রতি পিসের দাম ৮ টাকা থেকে ১০ টাকা করা হয়েছে। প্যারাসিটামল ৫০০ মিলিগ্রামের ১০ পিসের দাম ৮ টাকা থেকে ১২ টাকা হয়েছে। প্যারাসিটামল ৬৬৫ মিলিগ্রাম ১০ পিসের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা হয়েছে। প্যারাসিটামল সিরাপের দাম হয়েছে ২০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা। ব্রোমাজিপাম ৩ মিলিগ্রামের দাম ৫ টাকা থেকে ৭ টাকা হয়েছে। ১০ পিস কিনতে আগে ৫০ টাকা লাগত এখন ৭০ টাকা লাগছে। অ্যাসপিরিন ৭৫ মিলিগ্রামের ১ পাতায় ১০ পিসের দাম পড়ত ৫ টাকা এখন ৮ টাকা। গত এক বছরে গ্যাস্ট্রিক, অ্যান্টিবায়োটিক, ডায়াবেটিসসহ বেশ কিছু রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত দুই ডজনের বেশি ওষুধের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। এর মধ্যে কোনো কোনো ওষুধের দাম ১১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তাঁরা। তেমনই একটি ওষুধের নাম ‘অ্যানাফ্লেক্স ম্যাক্স-৫০০’। গেঁটে বাতের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এ ওষুধটির প্রতিটি ট্যাবলেট ১০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ২১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দাঁতব্যথার ওষুধ মারভ্যান-১০০ মিলিগ্রামের ১০ পাতার একটি বক্স আগে যেখানে ৪০০ টাকায় বিক্রি হতো, এখন সেটির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০০ টাকা। গ্যাস্ট্রিক ও আলসারজনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ফ্যামোট্যাক ২০ মিলিগ্রামের ১ পাতা ওষুধের দাম ২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫ টাকা করা হয়েছে।
একই ওষুধের দামে তারতম্য : বাংলাদেশের ওষুধের বাজারে আরেক নৈরাজ্য একই রোগের একই ওষুধের বিভিন্ন কোম্পানির ভিন্ন ভিন্ন দাম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে দেশে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকা ওষুধগুলোর একটি হচ্ছে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ। স্বাস্থ্য খাতের তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল স্ট্যাটিসটিকস হেলথ’-এর (আইএমএস হেলথ) তথ্যেও দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে এককভাবে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ১০টি ওষুধের মধ্যে পাঁচটিই গ্যাস্ট্রিকের। এর মধ্যে বিক্রির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ‘সার্জেল’। আইএমএস হেলথ তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের প্রথম নয় মাসে ওষুধটির বিক্রির আর্থিক পরিমাণ ছিল ৯১৮ কোটি টাকা। হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির সার্জেল ২০ মিলিগ্রামের প্রতিটি ক্যাপসুল ফার্মেসিতে বিক্রি হচ্ছে ৭ টাকা দরে। একই রোগের জন্য তৈরি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির সেকলো ২০ মিলিগ্রামের প্রতিটি ওষুধের দাম রাখা হচ্ছে ৬ টাকা। আবার গণস্বাস্থ্য ফার্মার জি-ওমিপ্রাজল ২০ মিলিগ্রামের প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩ টাকায়। অন্যদিকে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রোগাট মাপস ২০ মিলিগ্রামের একটি ওষুধের দাম রাখা হচ্ছে ৮ টাকা।
ওষুধবাণিজ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা : সংশ্লিষ্টরা জানান, ওষুধের দাম বৃদ্ধিতে প্রতিযোগী কোম্পানিগুলোর অসুস্থ প্রতিযোগিতাকেও দায়ী করা যায়। এ প্রতিযোগিতার নামে ডাক্তারদের প্রভাবিত করতে নানানরকম উপঢৌকন দেওয়া হয়। প্রভাব বিশেষে ডাক্তারদের ফ্ল্যাট, গাড়ি, বিদেশভ্রমণ, নগদ অর্থ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, ডাক্তারদের প্রভাবিত করতে ‘মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ’ নামে একটি বিশেষ পেশাজীবী শ্রেণি গড়ে তুলেছে ওষুধ কোম্পানিগুলো। সংশ্লিষ্টরা জানান, ডাক্তার ও মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ খাতে বছরে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় করে ওষুধ কোম্পানিগুলো। খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে তারা মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ নিয়োগ দেয়। অথচ নতুন বা পুরোনো ওষুধের কোনো বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় না। ফলে ওষুধ সম্পর্কে ক্রেতারা কিছুই জানতে পারে না। ওষুধ সম্পর্কে প্রাথমিক কোনো ধারণা না থাকায় তাদের শতভাগ নির্ভর করতে হয় ডাক্তারদের ওপর।
ডাক্তাররা কি ওষুধ কোম্পানির দালাল? প্রশ্ন ড. আসিফ নজরুলের : রোগীদের কেন নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ কিনতে বলা হবে-এমন প্রশ্ন তুলে চিকিৎসকদের উদ্দেশে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের বড় বড় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের জন্য ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করার নির্দিষ্ট সময় কেন বরাদ্দ থাকে? কিন্তু পৃথিবীতে কোন জায়গায় হসপিটালে, প্রাইভেট ক্লিনিকে সব সময় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির জন্য নির্দিষ্ট টাইম থাকে ডাক্তারের? আপনারা কি ওষুধ কোম্পানির দালাল? এ দেশে বড় বড় হসপিটালের ডাক্তাররা কি ওষুধ কোম্পানির মধ্যস্বত্বভোগী? কোন জায়গায় নামান আপনারা নিজেদের?’ ১৬ আগস্ট রাজধানীতে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএইচসিডিওএ) নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি প্রশ্ন তোলেন।
ওষুধ শিল্প সমিতির তথ্যমতে আগে ওষুধের কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খুলতে ডলারের দাম পড়ত ৮০ টাকা। এখন ডলারের দাম পৌঁছেছে ১২২ টাকায়। প্রাইস পলিসি মোতাবেক প্রতি বছর বাজারের আর্থিক অবস্থা যাচাই করে এমআরপি পণ্যের দাম নির্ধারণ করার কথা। কিন্তু ২০ বছরেও তা করা হয়নি। এত দিন আর্থিক ক্ষতি হলেও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আপত্তি করেনি। আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দামও চড়া। এখন কিছু ওষুধের দাম না বাড়ালে প্রতিষ্ঠানের টিকে থাকা মুশকিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে এমআরপি প্রোডাক্টের কিছু দাম বেড়েছে।