ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রীষ্মকালীন টম্যাটোর বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক। কৃষি বিভাগের পরামর্শে তারা এবার সফলভাবে উন্নত জাতের টম্যাটো চাষে সক্ষম হয়েছেন। অনুকূল আবহাওয়া ও কৃষি বিভাগের সহায়তায় জেলায় লক্ষ্যমাত্রার বেশি জমিতে টম্যাটো চাষ হয়েছে বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৩৪ হেক্টর জমিতে টম্যাটোর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে চাষ হয়েছে ১৩৮ হেক্টর জমিতে। সদর উপজেলার ৭০ হেক্টর, আশুগঞ্জে ৫, আখাউড়ায় ৩, নাসিরনগরে ২০, কসবায় ৫, নবীনগরে ১০, বিজয়নগরে ২২, সরাইলে ৩ হেক্টর জমিতে টম্যাটো আবাদ করা হয়। এসব জমিতে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হয়েছে। সদর উপজেলার রামরাইল এলাকার কৃষক মো. কামাল মিয়া জানান, তারা দুই ভাই মিলে ৬০০ শতাংশ জমিতে টম্যাটো আবাদ করেন। প্রতি ২০ শতাংশে খরচ হয় প্রায় লাখ টাকা। এবার ফলন ভালো হওয়ায় প্রতি ২০ শতাংশে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশা করছেন তারা। আরেক কৃষক মো. মহিউদ্দিন জানান, অনুকূল আবহাওয়ার কারণে টম্যাটোর আবাদ ভালো হয়েছে। সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম জানান, সদরে ৭০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টম্যাটো আবাদ হয়েছে। তিত বেগুনের চারার সঙ্গে গ্রাফটিং করে টম্যাটোর চারা উৎপাদন করা হয়। গ্রীষ্মকালে তাপ সহনশীল জাতের টম্যাটোগুলো সাধারণত অধিক যত্নের ও পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। ভালো ফলন পেতে পলিথিন শেড ব্যবহারসহ মালচিং করতে হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মুনসী তোফায়েল হোসেন জানান, এ বছর গ্রীষ্মকালীন টম্যাটোর আবাদ বেড়েছে। গ্রীষ্মকালীন টম্যাটো চাষ করতে শীতকালীন টম্যাটো চাষ থেকে উৎপাদন খরচ বেশি পড়ে। তবে লাভ বেশি হয়। এখন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে টম্যাটো বিক্রি হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ১০ বছর ধরে গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন জাতের ট১ম্যাটো বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে।