বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে হরতাল, সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ ছাড়া আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
বাগেরহাট : জেলার চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে গতকাল টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক হরতাল, সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ পালিত হয়েছে। অবরোধকালে মোংলা-খুলনা, মোংলা-ঢাকা, খুলনা-বরিশাল-পটুয়াখালী, খুলনা-কাটাখালী-ঢাকা, বাগেরহাট-মাওয়া-ঢাকা ও শরণখোলা-সাইনবোর্ড-ঢাকা মহাসড়ক পুরোপুরি অচল হয়ে পড়ে। এসব মহাসড়কের অন্তত ৩০টি পয়েন্টে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে পিকেটাররা। ফলে মোংলা সমুদ্রবন্দরের আমদানি-রপ্তানি পণ্য সড়ক পথে পরিবহন করা যায়নি।
বিএনপি জামায়াতসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা এই হরতাল ও অবরোধে বাগেরহাট বিসিক, মোংলা ইপিজেড, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ জেলার সব শিল্পাঞ্চলের কল-কারখানায় কোনো কাজ হয়নি। দ্বিতীয় দিনেও মোংলা বন্দরসহ পুরো বাগেরহাট জেলা সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে। হরতালে জেলা শহরসহ উপজেলাগুলোতে দোকানপাট, ব্যবসা, ব্যাংক, বিমা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বন্ধ ছিল। হরতালকারীরা জেলা, উপজেলার নির্বাচন অফিস ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় কর্মকর্তা কর্মচারীরা অফিসে ঢুকতে পারেনি। মোরেলগঞ্জে পানগুছি ও মোংলা নদীতে সড়ক বিভাগের ফেরিও চলাচল করেনি।
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) : সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের দাবিতে গতকাল ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। এ সময় ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বরিশাল, ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক ও বেনাপোল-ঢাকা রেলপথ অবরোধ করা হয়। বিক্ষুব্ধরা মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে, গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এ ছাড়া গতকাল সন্ধ্যায় দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে ভাঙ্গার আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক মিঞা বলেন, শুক্রবার ও শনিবার অবরোধ প্রত্যাহার করা হলো। এর মধ্যে দাবি না মানলে রবিবার ভাঙ্গায় একটানা মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধসহ অসহযোগ আন্দোলন চলবে।