প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় যে কোনো ধরনের সভাসমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ থেকে নির্দেশনাটি কার্যকর হবে। গতকাল ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ডিএমপি অর্ডিন্যান্সে অর্পিত ক্ষমতাবলে ১৩ আগস্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেট, মাজার গেট, জামে মসজিদ গেট, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ ও ২-এর প্রবেশ গেট, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনের সম্মুখে সব ধরনের সভাসমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হলো। এ ছাড়া বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায় ও প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে যখন-তখন সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে পুনরায় অনুরোধ করা হলো।
সচিবালয়ের নিরাপত্তা জোরদারে নতুন নির্দেশনা : বাংলাদেশ সচিবালয়ের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা জোরদার করতে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সাতটি নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। গতকাল এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আদেশে বলা হয়, সচিবালয়ের অভ্যন্তরে প্রত্যেকটি ভবনের নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সচিবালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত প্রতিটি ভবন ও প্রাঙ্গণের সার্বক্ষণিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো- সচিবালয়ের অভ্যন্তরে সব ধরনের মিছিল, সমাবেশ বা গণজমায়েত বাতিল করা হলো। অভ্যন্তরে অবস্থিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অননুমোদিত কোনো সভা বা সমাবেশ বা কোনো পেশাগত সংগঠন, সমিতির সভা, সম্মেলন, বৈঠক করা যাবে না। সন্ধ্যা ৬টার পর অভ্যন্তরে জরুরি দাপ্তরিক প্রয়োজনে অবস্থান করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে। সাপ্তাহিক ছুটি কিংবা অন্য কোনো ছুটির দিনে অভ্যন্তরে দাপ্তরিক প্রয়োজনে অবস্থান করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে। অভ্যন্তরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সচিবালয় প্রবেশ পাস দৃশ্যমান রাখতে হবে। অভ্যন্তরের কোনো ভবন বা প্রাঙ্গণে কোনোরূপ লিফলেট বিতরণ, ব্যানার বা ফেস্টুন ঝুলানো বা স্থাপন করা যাবে না এবং সচিবালয়ে প্রবেশকালীন গাড়ি বা ব্যক্তির নিরাপত্তা তল্লাশি দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনী নিশ্চিত করবে।