জাতীয় সংসদের আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এ ছাড়া সমাজমাধ্যমেও এ নিয়ে বইছে আলোচনার ঝড়। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য।
বাগেরহাট : বাগেরহাটে একটি সংসদীয় আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রতিবাদে গতকাল দ্বিতীয় দিনেও বাগেরহাট সদরসহ রামপাল, মোংলা, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও কচুয়ায় বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করেছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। তারা সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে আজ সকাল থেকে জেলার সব মহাসড়ক লাগাতার অবরোধ করে মোংলা বন্দরকে সারা দেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কর্মসূচি দিয়েছেন।
মোংলা : মোংলায় বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিএনপি। উপজেলা বিএনপির আয়োজনে গতকাল সকালে শ্রমিক সংঘ চত্বর থেকে বের হওয়া এ বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা পরিষদের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আ. মান্নান হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক আবু হোসেন পনি, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকির হোসেন, উপজেলা বিএনপি নেতা আবু তালেব হাওলাদার, রুস্তম আলী শেখ ও খানজাহান সরদার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের বিজয়নগর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে যুক্ত করে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে গতকাল বিজয়নগরে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিজয়নগর উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে চান্দুরা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়। বিজয়নগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রাষ্ট্রু সরকার, চান্দুরা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সোহাগ খন্দকার, চান্দুরা ইউনিয়ন হেফাজতে ইসলামের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাব সিদ্দিকী, চান্দুরা ইউনিয়ন যুব খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমদ প্রমুখ। বিক্ষোভকারীরা আধা ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। বক্তারা বলেন, বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটিতে প্রায় ৯৬ হাজার ভোটার আছেন, যা উপজেলার মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক। ২ লক্ষাধিক ভোটার বিশিষ্ট বিজয়নগর উপজেলা একক সংসদীয় আসনের উপযুক্ত হলেও বছরের পর বছর ধরে এটিকে বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করে অবহেলার শিকারে পরিণত করা হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও বিজয়নগরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এর পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে।