চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীর সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় আহত মামুন মিয়ার মাথার খুলি এখনো প্রতিস্থাপন করা হয়নি। তবে মামুনকে চিকিৎসকরা ধরে ধরে হাঁটানোর চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া আশঙ্কাজনকভাবে আহত ইমতিয়াজের জ্ঞান ফিরেছে। এখন তিনি ধীরে ধীরে হাত-পা নাড়াচ্ছেন, মানুষকে চিনতে পারছেন।
জানা যায়, চবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন মিয়া এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ সায়েম। এর মধ্যে মামুনের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। ঘটনার দিন রাতেই পার্কভিউ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করার জন্য তার মাথার খুলি খুলে ফ্রিজে রাখা হয়।
অপারেশনের পর তাকে কয়েক দিন আইসিইউতে রাখা হয়। এখন তিনি কেবিনে রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানান, এটা প্রতিস্থাপন করতে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগবে। গত শনিবার থেকে চিকিৎসকরা তাকে আরেকজনের কাঁধে ভর দিয়ে হাঁটানোর চেষ্টাও করছেন।
চমেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও পার্কভিউ হাসপাতালের নিউরো সার্জন ডা. মো. ইসমাঈল হোসেন বলেন, মামুন এখন অনেক সুস্থ। ইতোমধ্যে তাকে হাঁটাচলা করানোর চেষ্টা করেছি। হাঁটতে পারাটা সুস্থ হয়ে ওঠার লক্ষণ। আশ করি, দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবেন। ইমতিয়াজের শারীরিক অবস্থাও ভালো।
টানা সাত দিন আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তাকে লাইফ সাপোর্ট থেকে বের করা হয়েছে। এখন পরিপূর্ণভাবে তার বাবাকে চিনতে পারছে। আমরা আশা করছি, দুই দিন পরই তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা যাবে।
গত ৩১ আগস্ট রাতে এক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।
আহতদের চবির ৮টা বাস ও ৯টা অ্যাম্বুলেন্সে করে চমেক হাসপাতালসহ নগরের বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।