বোমা মেরে বিস্ফোরণ ঘটানো হবে- এমন হুমকি দিয়ে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৮০টি স্কুলে ইমেইল করা হলে ভারতের দিল্লি ও বেঙ্গালুরুতে তোলপাড় অবস্থা শুরু হয়।
জানা গেছে, গতকাল সকালে প্রথমে দিল্লির অন্তত ৪০টি স্কুলে এ হুমকি ইমেইল আসে। দিল্লির সিভিল লাইনসের সেন্ট জেভিয়ার্স, পশ্চিম বিহারের রিচমন্ড গ্লোবাল স্কুল, রোহিনীর অভিনব পাবলিক স্কুল ও সোভেরেইন স্কুল, সাকেটের অ্যামাইটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, বসন্ত বিহারের দিল্লি পাবলিক স্কুল, আর কে পুরমের দিল্লি পাবলিক স্কুলসহ একাধিক স্কুলে বোমা রাখা আছে বলে হুমকিতে উল্লেখ করা হয়। এরপর তড়িঘড়ি স্কুলগুলো খালি করে ফেলা হয়। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ ও বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো বোমা পাওয়া যায়নি। তবে স্কুল ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ওই ইমেইলের শিরোনামে লেখা ছিল, ‘স্কুলের ভিতরে কালো রঙের পলিথিনের প্যাকেটে বোমা রাখা আছে।’ ওই মেইলটি পাঠানো হয়েছিল ‘[email protected]’ ঠিকানা থেকে। হুমকির চিঠিতে আরও দাবি করা হয়,
স্কুলজুড়ে ট্রাইনিট্রোটোলিউইন (টিএনটি) বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কী ভয়ংকর পরিণতি হবে, সেই বর্ণনাও করা হয়।
রহস্যজনক ইমেইলে লেখা হয়, ‘আমি এই পৃথিবী থেকে তোদের সকলকে মুছে দেব। একজনও বেঁচে থাকবে না। আমি যখন এই খবর দেখব তখন আমার খুশির শেষ থাকবে না। আমি আনন্দে হাসতে থাকব। আমি দেখতে চাই বাবা-মায়েরা স্কুলে এসে নিথর, ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, ছিন্ন ভিন্ন লাশ জড়িয়ে ধরে কাঁদছে।’
ইমেইলটিতে আরও লেখা হয়, ‘তোদের সকলের শাস্তি পাওয়াই উচিত। আমিও আমার জীবনকে ঘৃণা করি। এই খবর পাওয়ার পরেই আমি নিজেকেও শেষ করে দেব। আমি আমার গলার নলি ও হাতের শিরা কেটে ফেলব।’
দিল্লির আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই বেঙ্গালুরুর ৪০টি স্কুলেও ঠিক একইভাবে বোমা বিস্ফোরণের হুমকি ইমেইল আসে। হুমকি মেইল পেয়েই স্কুল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্কুলের সব শিক্ষার্থীকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বেঙ্গালুরু ওই স্কুলগুলোতেও অভিযানে নামে পুলিশ এবং বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডের সদস্যরা।