দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) পুশইন অব্যাহত রয়েছে। গতকালও হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ও খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা সীমান্ত দিয়ে ৩৮ জনকে পুশইন করানো হয়। তাদের মধ্যে ১৯ জনকে সোমবার ভোর রাতে কালেঙ্গা সীমান্ত দিয়ে কাঁটাতারের গেট খুলে বাংলাদেশে পুশ ইন করা হয়।
আমাদের হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জেলার চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ১৯ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এর মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ১১ জন নারী। এ তথ্য নিশ্চিত করেন কালেঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার জাকারিয়া। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন হবিগঞ্জ ৫৫ বিজিবির সহকারী পরিচালক (এডি) হাবিবুর রহমান ও চুনারুঘাট উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলম। বিজিবি জানায়, পুশইন করা সবাই কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী ও নাগেশ্বরী উপজেলার বাসিন্দা। তারা ২০ বছর ধরে রুটি রুজির তাগিদে ভারতের হরিয়ানায় ইটভাটা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। গতকাল বিকাল ৩টায় তাদেরকে চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, মাটিরাঙ্গার সীমান্ত দিয়ে আবারও ১৯ জনকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। সোমবার ভোরে মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের আচালং ডিপি পাড়া এলাকার সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশ ইন করা হয়। তাদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে। তাদেরকে ভারতের হরিয়ানা রাজ্য থেকে আটক করে মাটিরাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, পুশ ইন হওয়া সবাই বিজিবির কৃষ্ণ দয়াল বিওপির আওতাধীন ডিবি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান করছে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম পুশ ইনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যাদের জোরপূর্বক পুশ ইন করা হয়েছে তারা বর্তমানে বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। তাদের পরিচয় যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। তারা যদি বাংলাদেশি নাগরিক হন সেক্ষেত্রে তাদেরকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর আগে চলতি মাসে কয়েক দফায় খাগড়াছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৮০ জনকে পুশ ইন করা হয়েছে।