আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের মূল এডিপির তুলনায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা কম। গতকাল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। চলতি অর্থবছরে (২০২৪-২৫) এডিপির মূল আকার ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। তবে বাস্তবায়ন সক্ষমতা ও আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে তা সংশোধন করে কমানো হয়। নতুন খসড়া অনুযায়ী, আগামী অর্থবছরে মোট বরাদ্দের মধ্যে স্থানীয় উৎস থেকে পাওয়া যাবে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি প্রকল্প সহায়তা থেকে আসবে ৮৬ হাজার কোটি টাকা। খসড়া এডিপিতে মোট প্রকল্পের সংখ্যা ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৪২টি। আগের বছরের মতো এবারও অগ্রাধিকার পাচ্ছে অবকাঠামো ও জনসেবামূলক খাতগুলো।
বরাদ্দের দিক থেকে এবারও শীর্ষে রয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত। এই খাতে বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৮ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত- ৩২ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ২৮ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা, যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। গৃহতৃণ ও নগর উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা; স্বাস্থ্য খাতে ১৮ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা; স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ১৬ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা এবং কৃষি খাতে বরাদ্দ থাকছে ১০ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ খাতে ১০ হাজার ৬৪১ কোটি, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবায় ৫ হাজার ৩৮ কোটি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি মে মাসেই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এডিপি উপস্থাপন করা হবে।