আশুলিয়ায় রোকসানা আক্তার (২৮) নামে এক পোশাক শ্রমিককে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করেছেন পাষণ্ড স্বামী। গতকাল ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ী এলাকার কালাম মাদবরের মালিকানাধীন পাঁচ তলা ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে। বাড়ির মালিক কালাম মাদবর জানান, ফজরের আগে ঘুম থেকে উঠে ধোঁয়ার গন্ধ পেয়ে নিচ তলায় নেমে দেখা যায় সব ফ্ল্যাটের সিটকিনি বাইরে থেকে বন্ধ করা। রোকসানার ফ্ল্যাটের দরজা খুলতেই দেখা যায় ঘরের ভিতর ধোঁয়া। তখন প্রতিবেশীরা এসে পানি ছিটিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। এরপর প্যাঁচিয়ে রাখা তোশক সরাতেই বের হয়ে আসে রোকসানা আক্তারের নিথর দেহ। বিছানায় রক্তের দাগ, গলায় আঘাতের চিহ্ন। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন স্বামী।
রোকসানা শেরপুরের মো. আবদুর রশিদের মেয়ে। তিনি ন্যাচারাল ইনডিগো লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। পলাতক স্বামীর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে তিনি আন্তজেলা বাস বা ভেকুর (এক্সকেভেটর) কন্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা গেছে। প্রতিবেশীরা জানান, পাঁচ বছর ধরে স্ত্রীর খোঁজখবর রাখতেন না স্বামী। হঠাৎ করে তিন দিন আগে বাসায় এলে স্ত্রী রোকসানা আক্তার তাকে ঘরে ঢুকতে দিতে চাননি। স্বামী জানান, দুর্ঘটনায় তিনি আহত, তার মাথা ফেটেছে- থাকতে দেওয়ার জন্য তিনি আকুতি মিনিতি করতে থাকেন। পরে বাড়ির মালিক ও অন্যরা রোকসানাকে বোঝালে তিনি রাজি হন। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহীনুর কবির বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে হত্যার পর আগুনের নাটক সাজিয়ে ঘটনা অন্যদিকে প্রভাবিত করতে চেয়েছিল হত্যাকারী। আমরা তদন্ত করছি। অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।