ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রের চেরনোমোরস্কয় জেলার মুসলিম সম্প্রদায় ১৪ বছর দীর্ঘ অপেক্ষার পর আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ‘আক-মিশত’ মসজিদের উদ্বোধন করতে সক্ষম হয়েছে। ২০১১ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়ে ২০২৫ সালে শেষ হওয়া এই মসজিদ এখন এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী ও সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। মসজিদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় প্রশাসনিক নেতা ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্র ও সেভাস্তোপল শহরের মুফতি আমির আলী আবলায়েভ।
চেরনোমোরস্কয় জেলার ইমাম শেখ লাইমান আবদুর রহমান তাঁর বক্তব্যে ক্রিমিয়ার মুসলিমদের ধর্মীয় প্রশাসন এবং এই ইসলামী স্থাপনার নির্মাণে অবদান রাখা সব সহায়ক ও সমর্থকের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই মসজিদ নির্মাণ এই অঞ্চলের মুসলমানদের একটি অত্যন্ত জরুরি চাহিদা পূরণ করেছে, যা দীর্ঘদিন ধরে অনুভূত হয়ে আসছিল। অন্যদিকে ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্র ও সেভাস্তোপল শহরের মুফতি আমির আলী আবলায়েভ তাঁর বক্তব্যে বলেন, আক-মিশত মসজিদের উদ্বোধন একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এটি শুধু একটি ধর্মীয় স্থাপনা নয়, বরং এই অঞ্চলে ইসলামী পরিচয়ের দৃঢ় উপস্থিতি ও আত্মপরিচয়ের প্রতীক।
এই মসজিদ সমগ্র ক্রিমিয়ার মুসলিমদের মধ্যে ঈমানি বন্ধন, ঐক্য ও বিশ্বাসকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, মসজিদের কার্যক্রম শুধু নামাজ আদায়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী শিক্ষামূলক ও সামাজিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে, যেখানে সমাজের সদস্যদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য এবং পারস্পরিক যোগাযোগের বন্ধন আরো দৃঢ় হবে। তিনি আরো বলেন, ‘আজ আমরা এই মসজিদের দরজা খুলে দিচ্ছি, যা শুধু একটি উপাসনালয় নয়, বরং এটি ঈমান, আকিদা, ভ্রাতৃত্ব ও সাহায্য-সহযোগিতার এক উজ্জ্বল প্রতীক হয়ে উঠবে।
এখানে মানুষ একে অন্যের পাশে দাঁড়াবে, জ্ঞান অর্জন করবে এবং অভাবীদের পাশে দাঁড়ানোর একটি নির্ভরযোগ্য কেন্দ্র হবে।’ তাই ইসলামী শিক্ষা, ঐক্য ও সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আলুকাহ ডটনেট অবলম্বনে