চীনের শেনচৌ-২১ মহাকাশযানের রিটার্ন ক্যাপসুল থেকে বের হয়ে মিশনের কমান্ডার ছেন তোং জানালেন, গত কয়েক দিনে দলটি পার্টি, দেশ ও জনগণের নিবিড় নজরদারি ও যত্ন পেয়েছে। প্রকল্পের সহকর্মীরাও সবসময় তাদের পাশে ছিলেন। এতে তারা আরও গভীরভাবে বুঝতে পেরেছেন যে, মানববাহী মহাকাশ অভিযানে জীবন ও নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হয়।
২০৪ দিন পর শুক্রবার বেইজিং সময় ১৬ টা ৪০ মিনিটে শেনচৌ-২১ এর রিটার্ন ক্যাপসুলটি উত্তর চীনের ইনার মঙ্গোলিয়ার তোংফেং ল্যান্ডিং সাইটে অবতরণ করে। এরপর একে একে ক্যাপসুল থেকে বের করে আনা হয় তিন নভোচারীকে। কমান্ডার ছেন আরও জানালেন, ‘আজ আমরা সুস্থভাবে দেশে ফিরেছি। মহান মাতৃভূমির প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। যারা আমাদের প্রত্যাবর্তন সুরক্ষিত করেছেন, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা। আমরা ফিরে এসেছি! আমার মহান দেশকে নিয়ে আমি গর্ব করি।’ আরেক নভোচারী ছেন চোংরুই জানান, নিজের মহাকাশ স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় তিনি মাতৃভূমির প্রতি গভীর কৃতজ্ঞ। আরও জানান, গত ২৪ এপ্রিল তারা ছয় মাসের মহাকাশ মিশনে যাত্রা শুরু করেন। মহাকাশ ও গ্রাউন্ড টিমের সমন্বয়ে সব কাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, অসংখ্য কর্মীর নিবেদিত প্রচেষ্টায় অসীম মহাকাশও উষ্ণ হয়ে ওঠে। শেনচৌ-২০ দলকে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল চিউছুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে মহাকাশে পাঠানো হয়। তাদের ফেরার কথা ছিল ৫ নভেম্বর। কিন্তু কক্ষপথে ঘুরতে থাকা ক্ষুদ্রাকৃতির বস্তুকণার সঙ্গে আঘাত হতে পারে সন্দেহে ফেরার পরিকল্পনা স্থগিত হয়। এরপর চীনা মানববাহী মহাকাশ সংস্থা (সিএমএসএ) জরুরি পরিকল্পনা চালু করে। নিরাপত্তা মূল্যায়ন, পরীক্ষা এবং সিমুলেশন শেষে দেখা যায়, শেনচৌ-২০ মহাকাশযানটি নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের মানদণ্ড পূরণ করছে না। ফলে ওটাকে কক্ষপথে রেখে গবেষণা কাজ চালিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সুরক্ষার জন্য শেনচৌ-২০ দলের তিন সদস্যকে শেনচৌ-২১ এর রিটার্ন ক্যাপসুলে করে পৃথিবীতে ফেরানো হয়।