মার্কিন শুল্ক দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্যের ওপর প্রভাব ফেললেও সেমিকন্ডাক্টর ও অটোমোবাইলের জন্য বিদেশি চাহিদার কারণে দেশটির রপ্তানি জুলাইয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশটির শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে শিউল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জুলাইয়ে দেশটির রপ্তানি ৬০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ছয় শতাংশ বেশি। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান রপ্তানি সেমিকন্ডাক্টর ১৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রেকর্ড করেছে, যা জুলাইয়ে সর্বোচ্চ। এটি আগের বছরের তুলনায় প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উচ্চ ব্যান্ডউইথ মেমোরি (এইচবিএম) চিপসের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ব্যবহৃত পণ্যের জোরালো চাহিদার কারণে এ পর্যায়ে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২৫ শতাংশ সার্বিক শুল্ক আরোপের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে শেষ মুহূর্তে ১৫ শতাংশ হার কমানোর জন্য চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিল।-এএফপি
কিন্তু ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের মতো রপ্তানিতে ৫০ শতাংশ শুল্ক বহাল রয়েছে। শুল্কের কারণে ইস্পাত ও অটো যন্ত্রাংশ রপ্তানি হ্রাস পেলেও গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য পরিবহন বেড়েছে। এর মূল কারণ সেমিকন্ডাক্টর ও ওয়্যারলেস যোগাযোগ ডিভাইসের রপ্তানি বৃদ্ধি। শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী কিম জং-কোয়ান এক বিবৃতিতে বলেছেন, জুলাইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার চারপাশের বাণিজ্য ও রপ্তানি পরিবেশ চরম অনিশ্চয়তার দ্বারা চিহ্নিত হয়েছিল। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১ আগস্ট থেকে নতুন শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিম আরও বলেন, এই কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলো রপ্তানির গতি বজায় রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। কিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা আমাদের রপ্তানি পরিবেশের চারপাশের অনিশ্চয়তা অনেকটাই দূর করেছে এবং নিশ্চিত করেছে যে, কোরিয়ান রপ্তানিকারকরা এখন সমান বা আরও অনুকূল শর্তে মার্কিন বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারবে। গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার লি জে-মিয়ং ‘আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে’ দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য হোয়াইট হাউসে আসবেন। বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন যে, সেই সময়ে বাণিজ্য চুক্তির আরও বিশদ ঘোষণা করা হবে।
