উত্তর কোরিয়া এবার ইরানের পাশে দাঁড়াল। ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলা নিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দেশটি। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিনের বিবৃতিতে ওই নিন্দা জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। বলেছেন, ওই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা সৃষ্টি করছে। এ সময় তিনি ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্যের ‘ক্যানসার’ হিসেবে অভিহিত করেন।
এদিকে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের সুনান থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে ১০টি মাল্টিলঞ্চার মিসাইল নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। রয়টার্স
গতকাল সকালে তারা এ মিসাইলগুলো ছুড়ে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী।
তবে মিসাইল ছোড়ার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি দক্ষিণ কোরিয়া। উত্তর কোরিয়া যেসব মাল্টিলঞ্চার মিসাইল নিক্ষেপ করেছে সেগুলো স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল হিসেবে বিবেচনা করে দক্ষিণ কোরিয়া। জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের রেজ্যুলেশন অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহার করতে পারবে না। তবে দেশটি এসব নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করে না।
ইরানের ওপর ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিসিএনএ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ হামলা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করছে। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েলের এ ধরনের আচরণ ইরানের সার্বভৌমত্বের গুরুতর লঙ্ঘন এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। এতে আরও বলা হয়, বিশ্ব আজ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা স্পষ্ট করে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তিগুলোর পৃষ্ঠপোষকতায় ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ক্যানসারের মতো এক সত্তা এবং বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রধান হুমকি। গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকটি সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ইরানের একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। এর পাল্টা জবাবে ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। এই পাল্টাপাল্টি হামলা এখন পর্যন্ত টানা ছয় দিন ধরে চলছে।