যুক্তরাষ্ট্র আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ‘গোল্ডেন ডোম’ পরিকল্পনার সমালোচনা করে উত্তর কোরিয়া বলেছে, ‘এটি মহাকাশকে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে পারে।’ ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, তার ভবিষ্যৎ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ‘গোল্ডেন ডোম’ তার প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ‘সম্পূর্ণভাবে চালু’ হয়ে যাবে।
প্রথম ধাপে ২৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, পুরো প্রকল্পের মোট ব্যয় প্রায় ১৭৫ বিলিয়ন ডলার হবে বলে তিনি ধারণা করছেন। তবে কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, এর প্রকৃত খরচ চূড়ান্ত পর্যায়ে এর তিন গুণ হতে পারে। এ পরিকল্পনায় স্থল, সমুদ্র এবং মহাকাশজুড়ে ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের’ প্রযুক্তির একটি নেটওয়ার্ক থাকবে। এর মূল অংশ হবে মহাকাশভিত্তিক ইন্টারসেপ্টর ও সেন্সর, যা শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হবে। পিয়ংইয়ং এ পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছে। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এটিকে ‘অহংকারের চূড়ান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন। তাদের অভিযোগ, ওয়াশিংটন ‘মহাকাশকে সামরিকায়ন করে নরকের বাঁকে পরিণত করছে’।
দেশটি যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেছে এ পরিকল্পনা ‘বৈশ্বিক পরমাণু ও মহাকাশ অস্ত্রের’ প্রতিযোগিতা বাড়াবে।
কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল ইউনিফিকেশনের সিনিয়র বিশ্লেষক হোং মিন এএফপিকে বলেছেন, পিয়ংইয়ং হয়তো মনে করছে গোল্ডেন ডোম তাদের পরমাণু অস্ত্র সম্ভারকে উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল করবে।
গোল্ডেন ডোম বিদ্যমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হলেও আরও বিভিন্ন বাড়তি সংযোজন থাকবে। বর্তমান সময়ে ক্রমাগত বাড়তে থাকা অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা হুমকি, উদাহরণস্বরূপ রাশিয়া বা চীনের দিক থেকে সম্ভাব্য হুমকির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে।c