পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন দলের নেতা-কর্মীরা। গতকাল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পিটিআই সমর্থকরা ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে ডাকা প্রতিবাদ কর্মসূচিতে জড়ো হয়েছেন এবং বর্তমান সরকারকে উৎখাত না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে দলটি। ইমরান খানের কারাদণ্ডের দুই বছর পূর্ণ হওয়ার পর পিটিআই এ আন্দোলন শুরু করে।
প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনকালে দেশটির লাহোরে কমপক্ষে ছয় এমপিএ-কে (প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য) গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আটক করা হয়েছে বিরোধী দলের উপনেতা মইন কুরেশিকে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- এমপিএ ফারুক জাভেদ মুন, কর্নেল শোয়েব, নাদিম সাদিক ডোগার, খাজা সালাহউদ্দিন, আমিনুল্লাহ খান এবং ইকবাল খট্টক। এদিকে, পিটিআইর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে লাহোরে ৩০০ জনেরও বেশি কর্মীকে আটক করা হয়েছে এবং দলীয় নেতাদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে চলমান রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের সমালোচনা করে পিটিআই পাঞ্জাব শাখা বলেছে, বয়স্ক সমর্থকদের ভয় দেখানো হচ্ছে। -এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
এক্সে পোস্ট করে পিটিআই ইসলামাবাদ জানিয়েছে, রেহানা ইমতিয়াজ দারকে আইওয়ান-ই-আদল থেকে জোরপূর্বক গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পিটিআই নেতা আসাদ কায়সারের মতে, ৫ আগস্ট বিক্ষোভের সূচনা, তবে এটিকে ‘চূড়ান্ত আহ্বান’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত হবে না। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচিকে অরাজকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র বলা হচ্ছে। ২০২৩ সালের এ দিনে ইমরান খান দুর্নীতির মামলায় কারাবরণ করেন। তাই পিটিআই এ দিনটিকে তাদের আন্দোলনের প্রতীকী সূচনা হিসেবে আজকের দিনটি বেছে নিয়েছে। আসাদ বলেন, দলের প্রাদেশিক ইউনিটগুলোকে মিছিল, গণসচেতনতা কর্মসূচি এবং অন্যান্য প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে এ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কারণ আমরা তাদের অধিকার নিয়েই আওয়াজ তুলছি। তিনি অভিযোগ করেন, ইতোমধ্যে পাঞ্জাব ও কাশ্মীর অঞ্চলে দলের নেতা-কর্মীদের ওপর ধরপাকড় শুরু হয়েছে এবং কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন