নাসার একটি রোভার মঙ্গলের বুকে ঘুরছিল। ঠিক সেই সময় তার চাকা একটি জায়গায় আটকে যায়। সেই পাথরটির ছবি তুলে পাঠানোর পরই নাসার বিজ্ঞানীদের চোখ কপালে উঠে যায়। তারা মনে করছেন এটি একটি সোনার পাথর। রোভার মঙ্গল থেকে সাতটি পাথরের ছবি দিয়েছে। তাদের মধ্যে এ পাথরের রং সব থেকে বেশি চিন্তায় ফেলেছে নাসাকে। বিগত চার মাস ধরে রোভার ঘুরছে মঙ্গলের মাটিতে। তবে এ পাথরের রং একেবারে আলাদা। শুকনো মঙ্গলের মাটি থেকে ঠিকরে বেরিয়ে এসেছে এ সোনার রং। সোনা হলো এমন একটি ধাতু যে মাটির নিচ থেকে সহজে বেরিয়ে আসতে পারে।
সেদিক থেকে দেখলে মঙ্গলের এ সোনা এবার সবার নজর কাড়বে। যদি মঙ্গলে সোনার দেখা মেলে তাহলে সেখান থেকে নতুন আরও সম্পদের হদিশ মিলতে পারে। যেখানে সোনার খনি থাকে সেখানে অন্য রত্ন থাকতে পারে। এ ধরনের পাথর প্রমাণ করে মঙ্গলে পানি থাকলেও থাকতে পারে। সেই পানি গ্যাসের আকারে রয়েছে। থাকতে পারে হারিয়ে যাওয়া প্রাণীদের সন্ধানও।
মঙ্গলের বর্তমান পরিস্থিতি যেখানে রয়েছে সেখান থেকে এখানে প্রাণ থাকা সম্ভব নয়। মঙ্গলে দিন এবং রাতে যে তাপমাত্রার হেরফের হয় তাতে এখানে কারও পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।