ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ৫ লাখ ফিলিস্তিনিকে অস্থায়ী ভিত্তিতে সিনাইয়ে আশ্রয় দিতে রাজি মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-আকবারের বরাতে গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। দখলদার ইসরায়েলের হামলায় ধ্বংস নগরীতে পরিণত হয়েছে গাজা। গাজাকে পুনর্গঠন করতে কাজ করছেন আরব বিশ্বের নেতারা। মিসরের প্রেসিডেন্ট তাদের জানিয়েছেন, যখন গাজা পুনর্গঠনের কাজ চলবে, তখন অস্থায়ী ভিত্তিতে ৫ লাখ ফিলিস্তিনিকে সিনাইয়ে আশ্রয় দিতে পারবেন তিনি। আল-আকবরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতার ও সৌদি আরবে আরব নেতাদের মধ্যে বিগত সপ্তাহগুলোতে যেসব বৈঠক হয়েছে সেখানে তাদের এ ব্যাপারে জানিয়েছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট। তবে মিসর বা আরব বিশ্বের কোনো দেশ এ ব্যাপারে মন্তব্য করেনি। গত মাসে আরব নেতারা একটি সম্মেলন করেন। সেখানে গাজাকে তিন ধাপে পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করা হয়। যেটি বাস্তবায়ন করতে ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ পড়বে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গাজায় প্রায় ৫ লাখ বাড়ি তৈরি করা হবে। এ ছাড়া সেখানে একটি বিমানবন্দরও বানানো হবে। তবে এমন পরিকল্পনার মধ্যেই গাজায় আবারও ভয়াবহ হামলা চালানো শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল। গত সোমবার রাতে বর্বর বোমাবর্ষণ করে এক রাতেই চার শর বেশি মানুষ হত্যা করে তারা। এ হত্যাযজ্ঞ এখনো অব্যাহত। দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ হুমকি দিয়েছেন, হামাস যদি তাদের জিম্মিদের মুক্তি না দেয় তাহলে গাজায় ইসরায়েলের স্থায়ী নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় নতুন করে হামলা শুরুর পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দেশটিতে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের রাস্তায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গাজায় হামলা অব্যাহত রেখে নেতানিয়াহু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাইছেন। বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বন্দিদের ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছেন। জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করে। -দ্য গার্ডিয়ান ও টাইমস অব ইসরায়েল