সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল-শারা। সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর এটিই ছিল আল-শারার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বৈঠক। বৈঠকের সময় দুই নেতার মধ্যকার আলাপচারিতা এখন সংবাদ শিরোনামে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রাম্প আল-শারাকে একটি পারফিউমের বোতল উপহার দিচ্ছেন। পারফিউমটি তার গায়ে স্প্রে করে ট্রাম্প বলেন, এটি সেরা সুগন্ধি... আর অন্যটি আপনার স্ত্রীর জন্য। এরপরই কৌতুক করে তিনি আল-শারাকে জিজ্ঞেস করেন, আপনার স্ত্রী কয়জন?
জবাবে আল-শারা যখন বলেন, এক জন। তখন হোয়াইট হাউসে হাসির রোল ওঠে। ট্রাম্পও রসিকতা থামাননি, পাল্টা কৌতুক করে বলেন, তুমি জানো না, ভবিষ্যতে কী হয়!
এই সফরের সময় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল-শারা ট্রাম্পকে প্রতীকী উপহার হিসেবে তার দেশের প্রাচীন সভ্যতার কিছু রেপ্লিকা প্রদান করেন। তিনি বর্ণনা করেন, এর মধ্যে রয়েছে ইতিহাসের প্রথম বর্ণমালা, প্রথম স্ট্যাম্প, প্রথম সংগীতের নোট এবং প্রথম কাস্টমস ট্যারিফের প্রতিরূপ।
অন্যদিকে, আল-শারার উত্থানের কঠিন ইতিহাস স্বীকার করে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, আমাদের সকলেরই কঠিন অতীত রয়েছে, তারও কঠিন অতীত আছে। আর আমার মনে হয়, সত্যি বলতে আপনার যদি কঠিন অতীত না থাকে, তবে আপনার কোনো সুযোগই থাকবে না।
৪৩ বছর বয়সী আল-শারা গত বছর ক্ষমতা দখল করেন। গত ডিসেম্বরের ৮ তারিখে এক দ্রুত অভিযানে তার ইসলামপন্থী বাহিনী সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এই সাক্ষাতে আল-শারার প্রধান এজেন্ডা ছিল, আসাদ সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো (সিজার অ্যাক্ট) স্থায়ীভাবে প্রত্যাহার করা। যদিও বর্তমানে ট্রাম্প এই নিষেধাজ্ঞাগুলো মওকুফ করেছেন, তবে স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের জন্য মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
সূত্র: এনডিটিভি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল