ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলি জিম্মিদের যেসব মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, সেগুলোর সবই ফেরত দিয়েছে। সংগঠনটির সামরিক শাখা ‘আল-কাশেম ব্রিগেড’ বলেছে, বাকি মৃতদেহগুলো উদ্ধারে ‘বিশেষ সরঞ্জাম ও ব্যাপক প্রচেষ্টা’ প্রয়োজন।
আল-কাশেম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আমরা চুক্তি অনুযায়ী কাজ করেছি। আমাদের হেফাজতে থাকা সব জীবিত বন্দি এবং যেসব মৃতদেহে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে, সেগুলো হস্তান্তর করেছি।”
চলমান যুদ্ধবিরতি ও শান্তিচুক্তির শর্ত অনুযায়ী, হামাসকে প্রথম ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই সব জীবিত ও মৃত জিম্মিকে ফেরত দিতে হবে। কিন্তু রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হামাস নয়জন মৃত জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলের হাতে তুলে দিয়েছে।
সিএনএন সূত্রে জানা গেছে, ইসরায়েল আগেই জানত যে, সব মৃতদেহ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাওয়া নাও যেতে পারে। তবুও ইসরায়েলি নেতৃত্ব এখন এ বিলম্বে ক্রমেই বিরক্ত হয়ে উঠছে এবং পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে বিকল্প পদক্ষেপ বিবেচনা করছে।
দুই বছরের যুদ্ধে গাজা উপত্যকার বহু এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, যা মৃতদেহ উদ্ধারে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ইসরায়েল মনে করছে হামাস হয়তো বাস্তবিক কারণেই সব মৃত জিম্মির মরদেহ খুঁজে বের করতে পারছে না। তবে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ক্ষোভ দ্রুতই বাড়ছে।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, চুক্তির শর্তানুযায়ী হামাসের অগ্রগতি না হওয়া ‘চুক্তির প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যর্থতা’ বলে ধরে নেওয়া হবে। সূত্র: সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান
বিডি প্রতিদিন/একেএ