কানাডার ম্যানিটোবা প্রদেশের একটি দূরবর্তী আদিবাসী গ্রামে ভয়াবহ ছুরিকাঘাতের ঘটনায় এক তরুণী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন। অভিযুক্ত হামলাকারীও পালানোর সময় মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ভোরে উইনিপেগ শহর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরের হোলো ওয়াটার ফার্স্ট নেশন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) জানিয়েছে, ছুরিকাঘাতের পর অভিযুক্ত টাইরন সিমার্ড (২৬) একটি চুরি করা গাড়ি নিয়ে পালাচ্ছিলেন। এ সময় তার গাড়ির সঙ্গে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই অভিযুক্ত মারা যান এবং ওই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। তবে তিনি এখন শঙ্কামুক্ত এবং সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, নিহত ১৮ বছর বয়সী তরুণী ছিলেন হামলাকারীর বোন। আহতদের মধ্যে মাইকেল রেভেন নামের এক ব্যক্তি রয়েছেন। তার পরিবার জানায়, রাতের ঘুম ভাঙার পর তিনি নিজের ঘরে হামলাকারীর ছুরিকাঘাতে ফুসফুসে আঘাত পান। তার মেয়ে ক্রিস্টি উইলিয়ামস স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এমন ঘটনা আমাদের এলাকায় কখনো ঘটে না। পুরো কমিউনিটি ভীষণভাবে কেঁপে উঠেছে।”
পুলিশ জানায়, স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটে প্রথম কল পান তারা। এরপর আরও একটি স্থানে হামলার খবর আসে। দুই জায়গা থেকেই ছুরিকাঘাতে আহতদের উদ্ধার করা হয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীরা সবাই একে অপরকে চিনতেন। তবে হামলার কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হোলো ওয়াটার ফার্স্ট নেশনের প্রধান ল্যারি বার্কার আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, “কমিউনিটির সবাইকে একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে। নিহত ও আহতদের পরিবার আমার খুব কাছের মানুষ। আমি তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।”
ম্যানিটোবার প্রিমিয়ার ওয়াব কিনিউ আহত পুলিশ কর্মকর্তার প্রশংসা করে বলেন, “তিনি এক হত্যাযজ্ঞ থামাতে সক্ষম হয়েছেন।”
ঘটনাস্থলের আদিবাসী সম্প্রদায়টি কয়েক শ মানুষের বসতি। তিন বছর আগে একই দিনে সাসকাচেওয়ানের জেমস স্মিথ ক্রি নেশন এবং ওয়েলডন গ্রামে ছুরিকাঘাতে ১১ জন নিহত হয়েছিলেন। সেই ভয়াবহ ঘটনার বার্ষিকীতেই ঘটল নতুন এই হামলা। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজিম