পাকিস্তানে বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টি এবং আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা রবিবার এই তথ্য জানিয়েছেন।
সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। সেখানে ২১ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১০ জন শিশু। প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১৪ জনই সোয়াত উপত্যকার বাসিন্দা। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সোয়াত উপত্যকায় আকস্মিক বন্যায় নদীর তীরে থাকা কয়েকটি পরিবার ভেসে গেছে।
পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে, যা ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন, বুধবার থেকে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে আট শিশু রয়েছে, যারা প্রবল বৃষ্টির সময় দেয়াল বা ছাদ ধসে মারা গেছে। বাকি প্রাপ্তবয়স্করা আকস্মিক বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন।
এছাড়াও, সিন্ধু ও বেলুচিস্তান প্রদেশে বর্ষার কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে আরও ১১ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।
জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা সতর্ক করেছে, আগামী শনিবার পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টি এবং আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি বেশি থাকবে।
গত মাসেও দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে শক্তিশালী শিলাবৃষ্টিসহ বেশ কয়েকটি আবহাওয়াজনিত ঘটনায় অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
সূত্র: এএফপি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল