নরওয়ের রাজপরিবারের সদস্য মারিয়াস বোর্গ হোইবি-এর বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সহিংসতার ২৩টি গুরুতর অভিযোগ এনেছে দেশটির পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি যৌন নির্যাতন, শারীরিক সহিংসতা এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের নির্যাতনের অভিযোগে হোইবিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এসব ঘটনা নিয়ে প্রায় ১০ মাসব্যাপী তদন্তের পর মামলাটি বর্তমানে রাষ্ট্রীয় প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
২৮ বছর বয়সী হোইবি হলেন নরওয়ের ক্রাউন প্রিন্স হাকোনের সৎপুত্র এবং ক্রাউন প্রিন্সেস মেটে-মেরিট–এর প্রথম সন্তান। তিনি কোনো রাজকীয় পদবি কিংবা সরকারি দায়িত্বে নেই, তবে রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
হোইবিকে গত বছর আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও নভেম্বর মাসে মোট তিনবার গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট তাকে একটি হামলার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তদন্তে একে একে বেরিয়ে আসে একাধিক নারী নির্যাতনের অভিযোগ।
তদন্তে দেখা যায়, তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে—
- ৩টি ধর্ষণের অভিযোগ
- ৪টি যৌন আপত্তিকর আচরণ
- ১টি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের নির্যাতন (ধর্ষণ)
- ২টি শারীরিক আঘাতের অভিযোগ
অসলো পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে বিপুলসংখ্যক সাক্ষীর সাক্ষ্য, ডিজিটাল ডেটা পর্যালোচনা ও বেশ কয়েকটি তল্লাশি চালানো হয়েছে। পুলিশের ভাষ্যমতে, হোইবি তদন্তে কিছুটা সহযোগিতা করেছেন এবং তাঁকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
তবে পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগও উঠেছে। কিছু মামলার অভিযোগ গোপনে খারিজ করে দেওয়া হয়, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে গণমাধ্যমে। পুলিশ বলছে, এই সিদ্ধান্ত প্রমাণ ও আইনগত সীমাবদ্ধতার কারণেই নেওয়া হয়েছে।
হোইবির আইনজীবী পেটার সেকুলিক বলেন, “আমার মক্কেল অভিযোগগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছেন, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিরব রয়েছেন, বিশেষত যৌন সহিংসতা সংক্রান্ত অভিযোগে।”
পুলিশ অ্যাটর্নি আন্দ্রেয়াস ক্রুসজেউস্কি বিবিসিকে জানান, মামলায় ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ‘দ্বি-অঙ্কের’ এবং প্রসিকিউটররা এখন অভিযোগ গঠনের সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ বিষয়ে নরওয়ের রয়্যাল হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, “মামলাটি এখন আইনি প্রক্রিয়ায় রয়েছে। রাজপরিবারের এই বিষয়ে বলার কিছু নেই।”
সোর্স: বিবিসি, রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/আশিক