কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ভাইরালের মূল হোতা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ আলী সুমন। এ ঘটনায় সুমনসহ ৪ জনের নামে পর্নোগ্রাফি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদের চারজনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে রোববার (২৯ জুন) বিকেলে মুরানগর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক একটি মামলা করেছেন। এরআগে শুক্রবার তিনি মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে আসামি করে মুরাদনগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কুমিল্লা চিফজুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটি আদালতে চারজনকে হাজির করা হলে বিচারক মোমিনুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাকিরা হলেন, মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচর গ্রামে জাফর আলীর ছেলে রমজান আলী, তালেব হোসেনের ছেলে মো. অনিক ও মো. আরিফ।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ছাত্রলীগ নেতা সুমনের নেতৃত্বে নারীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে তার তিন সহযোগী। পরে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী তাদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করলে বিকেলে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার (২৮ জুন) রাতে পুুলিশ অভিযান চালিয়ে সুমন ও তার তিন সহযোগীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল