দুবাই পুলিশ এক ভুয়া রিয়েল এস্টেট এজেন্টকে গ্রেপ্তার করেছে, যিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অস্বাভাবিকভাবে কম দামে অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়ার বিজ্ঞাপন দিতেন। আগ্রহীদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা বা বুকিং ফি নিয়ে তিনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে পালিয়ে যেতেন। এসব ক্ষেত্রে কোনো বাসা বা সেবাই দেওয়া হতো না।
পুলিশ জানায়, এটি সাইবার প্রতারণা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দুবাই পুলিশ সতর্ক করে জানায়, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট মার্কেট ৮০.৩৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে, ফলে উৎসব বা ব্যয়বহুল সময়গুলোতে প্রতারণার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। এ জন্য নাগরিকদের প্রতি ভাড়া নেওয়ার আগে বাড়ির মালিকের পরিচয় ও সম্পত্তির বৈধতা যাচাই করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এক্ষেত্রে দুবাই পুলিশ জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং ভাড়ার ক্ষেত্রে কোনো লেনদেন করার আগে বাড়ির মালিকের পরিচয় এবং প্রপার্টির বৈধতা যাচাই করার পরামর্শ দিয়েছে।
এছাড়াও সন্দেহজনক বিজ্ঞাপন দেখলে তা দুবাই পুলিশ অ্যাপে অথবা ৯০১ নম্বরে ফোন করে জানাতে বলা হয়েছে। জনসচেতনতা ও সহযোগিতাই এই ধরনের প্রতারণা বন্ধে সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এই প্রতারণা কেবল দুবাইতে সীমাবদ্ধ নয়। গত বছরের ৮ জুলাই আবু ধাবি পুলিশও অনুরূপ প্রতারণার বিষয়ে সতর্ক করে। সেখানে কিছু প্রতারক মিথ্যা ছবি ও কম ভাড়ার অফার দিয়ে লোক ঠকাচ্ছিল।
আবু ধাবি পুলিশ নাগরিকদের রেজিস্টার্ড এজেন্সি এবং সরকারি ডকুমেন্টেশন ব্যবহারের পরামর্শ দেয়। আকর্ষণীয় কিন্তু অস্বাভাবিক কম ভাড়ার অফারগুলো সাধারণত প্রতারণার লক্ষণ হতে পারে বলে তারা হুঁশিয়ার করে।
গত ২৫ জুন আজমান পুলিশ ভুয়া চাকরির অফার এবং ভাড়ার বিজ্ঞাপন নিয়ে নতুন সতর্কবার্তা জারি করে। এসব বিজ্ঞাপনে থাকা লিঙ্কে ক্লিক করে ব্যবহারকারীরা ব্যক্তিগত তথ্য, টাকা এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হারানোর শিকার হন।
দুবাই ল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট (DLD) জনগণকে শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিয়েল এস্টেট এজেন্ট এবং অনুমোদিত সম্পত্তির সঙ্গে লেনদেন করার পরামর্শ দিয়েছে।
সোর্স: খালিজ টাইমস
বিডি প্রতিদিন/আশিক