তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। তুরস্ক এটাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। শনিবার ইস্তাম্বুলে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারার সঙ্গে এক বৈঠকে এরদোয়ান এ মন্তব্য করেন।
প্রেসিডেন্ট শারার এই সফর পূর্বঘোষিত ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণার একদিন পরই তিনি ইস্তাম্বুলে পৌঁছান।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান শারাকে জানিয়েছেন, সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে তুরস্ক স্বাগত জানায়।
উল্লেখযোগ্য, এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধের পর গত বছর বিদ্রোহীদের হাতে বাশার আল-আসাদের দীর্ঘ শাসনের অবসান ঘটে। এর পর থেকে প্রেসিডেন্ট শারার সরকারকে ঘিরে অন্যতম আঞ্চলিক মিত্র হয়ে উঠেছে তুরস্ক।
বৈঠকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও গোয়েন্দা সংস্থা (এমআইটি)-এর প্রধান ইব্রাহিম কালিন এবং সিরিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও অংশ নেন। বৈঠকে কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠী ওয়াইপিজি (YPG)-র অস্ত্র সমর্পণ ও সিরিয়ার সেনাবাহিনীতে তাদের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়।
তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরেই ওয়াইপিজি-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখে আসছে এবং এ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সীমান্তের ওপারে অভিযানও চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ওয়াইপিজি-কে সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটবিরোধী যুদ্ধে প্রধান মিত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। ওয়াইপিজির নেতৃত্বাধীন এসডিএফ (SDF)-এর বিরুদ্ধে তুরস্কের অভিযোগ, তারা কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)-র সঙ্গে জড়িত, যারা চার দশক ধরে তুরস্কে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছিল।
তবে মে মাসের শুরুতে পিকেকে ঘোষণা দেয়, তারা অস্ত্রবিরতি দেবে এবং সশস্ত্র সংগ্রাম থেকে সরে আসবে। সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে এরদোয়ান-শারা বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল