আগামীকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে কবি সুকান্ত মেলা। ইতোমধ্যে মেলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কোটালীপাড়া উপজেলা প্রশাসন।
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের উনশিয়া গ্রামে সুকান্তের পৈত্রিক ভিটায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলাটি উদ্বোধন করবেন।
মেলায় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও থাকবে বাংলাদেশের বিভিন্ন নামী-দামী শিল্পীর অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বসবে গ্রামীণ মেলা। এই মেলাকে ঘিরে উপজেলাব্যাপী বইছে উৎসবের আমেজ। উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কবির বাড়ীটি সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করছে। অপরদিকে এই মেলাকে কেন্দ্র করে নবরুপে সেজেছে কবির বাড়ী ও এর আশপাশের এলাকা।
স্থানীয় এক মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক কবি মিন্টু রায় বলেন, প্রতি বছরই সুকান্ত মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দেশবরেণ্য কবি, লেখক, সাহিত্যিকদের আড্ডা বসে। আশা করছি এ বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না। এ মেলায় এসে কবি সাহিত্যিকরা তাদের প্রাণ খুলে কথা বলতে পারেন। তাদেরকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়। এ জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মঈনুল হক বলেন, স্থানীয় সুধীজনদের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন এ মেলা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা মেলার সকল আয়োজন শেষ করেছি। আমি চাইবো প্রশাসন ও এলাকাবাসী যেন আগামীতে কবির স্মৃতিকে ধরে রাখা এবং কবির জন্য মেলাটি আরও বর্ণাঢ্যভাবে আয়োজন করেন। এ ছাড়া কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের আদর্শকে বর্তমান যুব সমাজের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আমাদের আরও নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, ১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্য কলকাতার কালীঘাটের মহিমা হালদার স্ট্রিটে মামা বাড়ীতে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম নিবারণ ভট্টাচার্য্য। মাতা সুনীতি দেবী। ১৯৪৭ সালের ১৩ মে মাত্র ২১ বছর বয়সে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য মারা যান। ছাড়পত্র, ঘুম নেই, পূর্বাভাস, অভিযান, হরতাল- তার উল্লেখ যোগ্য কাব্যগ্রন্থ। কবির প্রতিটি কবিতায় অনাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বণিত হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ