গত এক মাসে ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতির ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো মার্কিন বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫০০ সদস্য নিহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কর্মকর্তা এমন দাবি করেছেন। সোমবার (২১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল আরাবিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত পাঁচ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে প্রতিনিয়ত বিমান ও নৌ হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইয়েমেনের নতুন অঞ্চলে অভিযান প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং গোয়েন্দা সূত্রের মতে, এসব হামলায় নিহতদের মধ্যে অনেকেই গোষ্ঠীটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা, ড্রোন অপারেটর এবং ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞসহ শীর্ষ-স্তরের অপারেটিভ।
একটি সূত্র আল আরাবিয়াকে জানিয়েছে, একাধিক হুতি প্রশিক্ষণ শিবির মার্কিন হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। যোদ্ধাদের মধ্যে কেউ বেঁচে নেই। কর্মকর্তারা বলেছেন যে হুতিরা নিহত যোদ্ধাদের পরিবারকে নীরব থাকার জন্য চাপ দিচ্ছে এবং তাদের ঘাঁটির মধ্যে আতঙ্ক এড়াতে কেবল নিম্ন স্তরের সদস্যদের মৃত্যু স্বীকার করছে গোষ্ঠীটি।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে একজন ইয়েমেনি নাগরিক সামাজিক মাধ্যম এক্সে দাবি করেছে, মার্কিন হামলায় নিহত হুতির সংখ্যা ৬৫০ জনেরও বেশি। এই দাবি করা ব্যক্তির নাম শেখ জামাল আল-মামারি, যিনি পূর্বে হুতির হাতে বন্দী ছিলেন। তবে সংবাদ মাধ্যমটি স্বাধীনভাবে নিহতের তালিকার সঠিকতা যাচাই করতে পারেনি।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে, মার্কিন হামলার ফলে নিহত হয়েছেন অনেক বেসামরিক নাগরিকও। কিন্তু কতজন বেসামরিক ইয়েমেনি মারা গেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এসব হামলায় অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে হুতির সামরিক সক্ষমতা।
আল আরাবিয়ার খবরে আরো বলা হয়েছে, মার্কিন অভিযানগুলো সোমবার রাত পর্যন্ত অব্যাহত ছিল এবং সামনেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, প্রচারণা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। কিছু মার্কিন মিডিয়া আউটলেট জানিয়েছে, রাজধানী থেকে হুতিদের তাড়াতে এবং গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর থেকে তাদের জোরপূর্বক সরানো জন্য প্রস্তুতি চলছে একটি স্থল অভিযানেরও।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ