ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের প্রভাব পড়ল পার্সেল পরিবহনেও। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন শুল্কনীতি চালুর পর দেশটির শুল্ক বিভাগে বেড়েছে কঠোর নজরদারি। এতে বহুজাতিক পণ্য ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান ডিএইচএল এক্সপ্রেস ৮০০ ডলারের বেশি দামি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।
পণ্য দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ডিএইচএল। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্বের যেকোনও দেশের প্রতিষ্ঠান থেকে মার্কিন ভোক্তাদের কাছে পাঠানো চালান তারা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখবে।
তবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ভেতর বা ‘বিজনেস টু বিজনেস’–এর আওতায় থাকা চালানগুলো এখনও চালু রাখবে তারা। তবে সেগুলোর ক্ষেত্রেও পণ্য পৌঁছাতে দেরি হতে পারে।
এর আগে ২ হাজার ৫০০ ডলার পর্যন্ত মূল্যের পণ্য কাগজপত্রের সামান্য ঝামেলা পেরিয়েই যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পারত। তবে চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্পের নতুন শুল্ককাঠামো ঘোষণার পর এ সীমা কমিয়ে আনা হয়।
ডিএইচএল বলেছে, এ পরিবর্তনের ফলে শুল্ক বিভাগে আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র পেতে বেগ পেতে হচ্ছে। আমরা দিনরাত সেগুলো সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি।
তারা জানিয়েছে, আমরা এ অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। তবে উৎস যে দেশেই হোক না কেন, ৮০০ ডলারের বেশি মূল্যের চালান পৌঁছাতে কয়েক দিন দেরি হতে পারে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা ৮০০ ডলারের কম মূল্যের চালানগুলো আগের মতোই যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাবে এবং ন্যূনতম কাগজপত্রের বাধা পেরিয়ে সেগুলো ছাড় পাবে বলে আশা করছে।
তবে ৮০০ ডলারের কম মূল্যের পণ্যের ওপরও কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে হোয়াইট হাউস। বিশেষ করে চীন ও হংকং থেকে পাঠানো চালানগুলোর ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য হচ্ছে। ২ মে এ–সংক্রান্ত আইনি ফাঁকফোকর বন্ধ করে দেবে ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে কম মূল্যের পণ্যও শুল্ক ছাড়া আর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে না। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/একেএ