প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেছেন, ওষুধের অত্যাবশ্যকীয় তালিকা তৈরির পাশাপাশি রোগীদের জরুরি পরীক্ষানিরীক্ষার তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তালিকা করতে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। শিগগিরই দেশের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে এই তালিকা প্রস্তুত করা হবে। একই সঙ্গে ওষুধেরও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এজন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজনীয়তা, যৌক্তিকতা ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ নিয়ে কাজ চলছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের সাধারণ মানুষের ওষুধের অতিরিক্ত মূল্য এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যয় নিয়ে ক্ষোভ প্রশমিত হবে। গতকাল ‘স্বাস্থ্যসেবায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফরসহ বিশেষজ্ঞরা।
অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান আরও বলেন, স্বাস্থ্য কর্মীদের স্বল্পতা কমিয়ে আনতে আরও পাঁচ হাজার চিকিৎসক এবং সাড়ে তিন হাজার নার্স নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এতে নার্সের শূন্য পদের ৮০ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন আনতে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবপেজ আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স নির্ভর করা হচ্ছে। যেখানে প্রতি সপ্তাতে একটি বিষয়ে জনসাধারণের মতামত চাওয়া হবে এবং মতামতের ভিত্তিতে সরকার পরবর্তী করণীয় নির্ধরাণ করবে। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার দূরবস্থার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, বিদেশ নির্ভর লাখ-কোটি টাকার অপারেশনাল প্ল্যান থেকে বেরিয়ে এসে রাজস্ব নির্ভর স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তুলতে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এটা সাময়িক। তবে টিকা এবং অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের মতো জরুরি বিষয়গুলো বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে সমাধান করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত বাকি সমস্যাগুলোর সমাধান করা সম্ভব হবে।