বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস বলেছেন, আওয়ামী লীগ না থাকলেও জনগণের অংশগ্রহণ সঠিকভাবে হলে আগামী নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে পারে। জাতিসংঘের কাছে অন্তর্ভুক্তি মানে হচ্ছে, প্রত্যেক বাংলাদেশি যেন মতামত দেওয়ার সুযোগ পায়। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে গোয়েন লুইস বলেন, আমি আওয়ামী লীগ বা বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে কোনো মন্তব্য করছি না। জাতিসংঘ রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নয়। এই প্রশ্ন করতে হবে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে। সব দলের অংশগ্রহণ ও অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে মেরুকরণ এবং সম্ভাব্য সংঘাত এড়ানো যায়। এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, সরকারের সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে প্রযুক্তিগত সহায়তা করতে পারি। নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জাতিসংঘ কোনো ভূমিকা পালন করতে পারে না। নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশের জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবে কখন নির্বাচন হবে। তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ বর্তমান সরকারের সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করে। তবে কোন কোন বিষয়ে সংস্কার করা হবে, সেটা সরকারের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।
রাখাইনে মানবিক করিডর প্রসঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, রাখাইনে মানবিক করিডর হবে কি না সেটা নির্ভর করবে বাংলাদেশ ও মিয়ামারের সরকারের ওপর। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সরকার সম্মত হলেই এটা বাস্তবায়ন সম্ভব। দুই দেশ সম্মতি দিলে জাতিসংঘ সহযোগিতা করবে। তবে এ বিষয়ে জাতিসংঘ কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন চাই। এই সংকটের রাজনৈতিক সমাধান আশা করি। এটা এখন শুধু বাংলাদেশের ইস্যু নয়, এটা গ্লোবাল ইস্যু। তবে জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের জীবনরক্ষায় নানান ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে।
জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি আরও বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে একযোগে কাজ করছে। বিশেষ করে গ্রিন টেকনোলজি, মানবাধিকার, পোশাক খাত, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, জেন্ডার পলিসি ইত্যাদি ইস্যুতে সহযোগিতা দিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন।