দিনাজপুরের বোচাগঞ্জের কোঁদালকাটি গ্রামে প্রতিবেশী দাদা কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয় কিশোরী মোস্তাহিনা (১৪)। পরে লোকলজ্জার ভয়ে আত্মহত্যার চেষ্টায় বিষ পান করে সে। এরপর ১৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার দিবাগত রাতে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ (দিমেক) হাসাপাতালে তার মৃত্যু হয়। তিনি বোচাগঞ্জ উপজেলার ছাতইল ইউনিয়নের কোদালকাটি গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে তাকে গত ২১ জুন প্রথমে বোচাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে ২৮ জুন দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।
বোচাগঞ্জ থানার মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, বোচাগঞ্জের কোঁদালকাটি গ্রামের মাজাহারুল ইসলামের কন্যা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী তার দাদার বাড়িতে দাদির সাথে থাকতো। প্রতিবেশী দাদা মোঃ মোসলেম উদ্দিন (৫৮) দীর্ঘদিন থেকে মোস্তাহিনার সাথে বিভিন্ন খাবারের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছিলেন। একথা জানাজানি হলে লোকলজ্জার ভয়ে গত ২১ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোস্তাহিনা বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে প্রথমে বোচাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
দীর্ঘ ১৫দিন চিকিৎসারত অবস্থায় শনিবার দিবাগত (৫ জুলাই) রাতে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে মোস্তাহিনা। মৃত্যুর আগে তার পিতা বিষ খাওয়ার কারণ জানতে চাইলে মেয়ে জানান, প্রতিবেশী দাদা মোসলেম উদ্দীন দীর্ঘ এক বছর থেকে তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করে আসছেন। ভয়ভীতি ও লোকলজ্জার ভয় দেখালে সে বিষপান করি।
এ বিষয়ে মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে বোচাগঞ্জ থানায় গত ৩০ জুন একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বোচাগঞ্জ পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগে মোসলেমউদ্দীনকে গ্রেফতার করে দিনাজপুর জেলা জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান জাহিদ সরকার তরুণীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় গত ৩০ জুন বোচাগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল