রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। দেশের নানা প্রান্ত থেকে তোলা হচ্ছে গণহত্যাকারী এ সংগঠনটিকে নিষিদ্ধের দাবি। ফ্যাসিস্ট সংগঠনটির নিষিদ্ধের দাবিতে গতকাল রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হওয়া এ ব্লকেড কর্মসূচি প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয় এ আন্দোলন। গতকাল রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শাহবাগ ব্লকেড চলছিল।
এদিকে আজ বিকাল ৩টা থেকে শাহবাগে ছাত্র-জনতার গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। চলমান অবরোধ কর্মসূচি থেকে রাত ১১টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। গত রাতে ফেসবুক পোস্টেও এ কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন তিনি।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। শাহবাগেই আওয়ামী লীগের কবর খুঁড়ব। তিনি বলেন, শুধু শাহবাগ নয়, সারা বাংলা ব্লকেড দেব। এ সময় জুলাই গণ অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেওয়ারও দাবি জানান তিনি। সারজিস গত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, এই শাহবাগ জুলাই অভ্যুত্থানের। এই শাহবাগের বিজয় আবশ্যক।
সরেজমিন দেখা যায়, ক্রমেই বাড়ছে জনসমাগম। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দলে দলে যোগ দিতে দেখা গেছে এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত ছাত্র মজলিসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীদের। স্লোগানে স্লোগানে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছেন তারা। এর আগে আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে বৃহস্পতিবার রাতে যমুনার সামনে হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে অবস্থান নেন ছাত্র-জনতা। প্রথমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতা-কর্মীরা হাসনাতের সঙ্গে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন। রাত ১টার দিকে মিছিল সহযোগে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে যমুনার সামনে যান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। এনসিপির পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও বিক্ষোভে যোগ দেন। রাত ১টার পর হেফাজতে ইসলামের বেশ কিছু নেতা-কর্মী যমুনার সামনে যান। রাত দেড়টার দিকে যোগ দেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির নেতা-কর্মীরা। রাত ২টার দিকে সেখানে যান ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা। রাতভর বিক্ষোভ চলার পর গতকাল সকালে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ঘোষণা দেন, বাদ জুমা যমুনার পূর্ব পাশের ফোয়ারার সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সমাবেশ হবে। এ ঘোষণা দেওয়ার সময় জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ ইসলামপন্থি কয়েকটি দলের নেতা-কর্মীরা হাসনাত ও নাসীরুদ্দীনের সঙ্গে ছিলেন। হাসনাতদের এ ঘোষণার পর সেখানে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়।
জুমার নামাজের পর বিকাল ৩টায় শুরু হয় সমাবেশ। বক্তব্য রাখেন জুলাই আন্দোলনে আহত যোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্যরা। আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত ছাত্র মজলিসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ : অবরোধকারীদের স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে শাহবাগ ও তার আশপাশের এলাকা। ‘ব্যান করো, ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’, ‘বাহ ইন্টেরিয়াম চমৎকার, খুনিদের পাহারাদার’ ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’ ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’, ‘খুনি লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, করতে হবে করতে হবে’, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে সকাল ৮টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জুমার নামাজের পর বিকাল ৩টায় সমাবেশের ঘোষণা দেন জুলাই গণ অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। বিকালের সমাবেশে বক্তব্যের শেষে তিনি শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচি ঘোষণার আগে বক্তব্যে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ইন্টেরিমের কানে আমাদের কথা পৌঁছায় নাই। ইন্টেরিমের কানে শহীদের আওয়াজ পৌঁছায় নাই, আহতদের আর্তনাদ পৌঁছায় নাই। আমরা এখান থেকে এখন গিয়ে শাহবাগ অবরোধ করব। যতক্ষণ না আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা হবে আমরা জায়গা ছাড়ব না। আমরা এখন মিছিল নিয়ে শাহবাগ অবরোধ করব এবং এখান থেকেই আমাদের দ্বিতীয় অভ্যুত্থান পর্ব শুরু হবে। ১০০টা ফেরাউন ও ১০০টা নমরুদ একসঙ্গে করলেও একটা হাসিনা পাওয়া যাবে না এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে কোন কারণে রাজনৈতিক দল বলা হয়? আমরা শুনতে পাচ্ছি, প্রধান উপদেষ্টা নাকি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসার চেষ্টা করছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে তিনি নাকি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। আওয়ামী লীগ কোনোভাবে রাজনৈতিক দল নয় এমন ঘোষণা দিয়ে হাসনাত বলেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ বাকশাল তৈরি করে এ দেশে গণতন্ত্রের পরিবর্তে মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছিল। ৩০ হাজার জাসদ নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছিল। আওয়ামী লীগের লুটপাটের কারণে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষের কারণে ১৯৭৪ সালে ১৫ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা গিয়েছিল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে এ দেশের মানুষের রক্ত লেগে আছে। আওয়ামী লীগ ভারতের সহায়তায় ২০০৯ সালে পিলখানায় দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যা করেছিল।
হাসনাত বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এই ভূখণ্ডের মধ্য থেকেই নির্ধারিত হবে। বিদেশের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশের রাজনীতি নির্ধারিত হবে না। হাসিনা মূলত মোদির বেতনভুক্ত কর্মচারীর মতো দেশটাকে পরিচালনা করেছে। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে একজন ব্যক্তি যদি থাকে এখানে, আরও যদি এক মাস প্রয়োজন হয়, এক বছরও প্রয়োজন হয়, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আমরা এই ময়দান ছাড়ব না।
দ্রুত আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত না এলে আবারও ‘ঢাকা মার্চ’ : আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি (ব্লকেড) চলমান থাকবে উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, দ্রুত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত না এলে সারা বাংলাদেশ আবারও ঢাকা শহরে মার্চ করবে। গত রাত ৮টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে তিনি একথা জানান। নাহিদ ইসলাম বলেন, দলমত নির্বিশেষে আওয়ামী লীগ ও দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে জুলাইয়ের সব শক্তি এক থাকবে; এটাই প্রত্যাশা। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্লকেড শুরু হয়েছে।
দেশের সার্বভৌমত্ববিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী, জুলাইবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী, ইসলামবিরোধী, নারীবিরোধী, মানবতাবিরোধী, ফ্যাসিস্ট, সন্ত্রাসী, মুজিববাদী সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণে বাংলাদেশপন্থি সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এনসিপির এই নেতা।
এর আগে অন্য এক পোস্টে নাহিদ ইসলাম তিনটি দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো-আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে ও জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।
জেপিবির একাত্মতা : গতকাল লন্ডন থেকে এক ভিডিও বার্তায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সভাপতি ও নতুন রাজনৈতিক দল জনতা পার্টি বাংলাদেশের (জেপিবি) সভাপতি চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, ’২৪ -এর চেতনাকে আমরা হৃদয়ে ধারণ করি। তাই কোনো ফ্যাসিস্টকে মেনে নেওয়া হবে না। দেশে ফিরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাব। তিনি জানান, জনতা পার্টি বাংলাদেশের নির্বাহী চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার মিলন ও মহাসচিব শওকত মাহমুদ দলের অন্যান্য নেতাকে নিয়ে ছাত্র-জনতার পাশে রয়েছেন। জনতা পার্টি বাংলাদেশের সমন্বয়ক নূরুল কাদের সোহেল বলেন, আমাদের অবস্থান ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে। দলীয় সভাপতির নির্দেশে আমাদের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারীদের পাশে রয়েছেন।
শাহবাগ ব্লকেডে যোগ দিয়েছে সদ্য আত্মপ্রকাশ করা আপ বিডি : গতকাল বিকাল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয় নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ’র (আপ বিডি) আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন তারা।
পল্টনে অবরোধ গণঅধিকার পরিষদের : আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে পল্টন মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে গণঅধিকার পরিষদ। দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, এই সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় সংলাপ ডাকতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
উত্তরায় অবরোধ : রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। গতকাল বিকালে উত্তরার বিএনএস সেন্টার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্র-জনতা। পরে ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে নগরীর চকবাজার গুলজার মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে ছাত্র-জনতা। এরপর সেখান থেকে মিছিল নিয়ে নিউমার্কেট মোড়ে গিয়ে তারা রাস্তা অবরোধ করে স্লোগান দেন। এ কর্মসূচিতে যোগ দেন ইসলামী ছাত্রশিবির, জুলাই ঐক্য, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী, ইনকিলাব মঞ্চ এবং অন্যান্য ছাত্র ও নাগরিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।
এর আগে, রাত পৌনে ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়।
লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুর উত্তর তেমুহনী থেকে গতকাল বিকালে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে ছাত্র-জনতা। তা শেষ হয় ঝুমুর চত্বরে গিয়ে। সেখানে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
দিনাজপুর : গতকাল বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
খুলনা : আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে খুলনার শিববাড়ি মোড় ব্লকেড কর্মসূচি পালন করে ছাত্র-জনতা। কর্মসূচিতে এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র ও যুব আন্দোলন, রেড জুলাইসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেয়। গতকাল দুপুরের পর বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা শিববাড়ি মোড়ে অবস্থান নেয়।
শিববাড়ির মোড়ে ব্লকেড কর্মসূচি পালিত হওয়ায় খুলনা-যশোর মহাসড়ক, শিববাড়ি থেকে সোনাডাঙ্গা, ময়লাপোতা, রূপসা সড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে বলা হয়, এই বাংলায় আওয়ামী লীগের ঠিকানা হবে না। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এই সন্ত্রাসী সংগঠন দীর্ঘ ১৬ বছর ছাত্র-জনতার ওপরে অন্যায় অত্যাচার করেছে।
নোয়াখালী : নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে প্রধান সড়ক দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচার দাবিতে সড়কের অবস্থান করছে শিক্ষার্থী জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মী, এনসিপি ও খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীরা। তারা মাইজদী প্রধান সড়কে অবরোধ করে এ কর্মসূচি পালন করছে।