শ্রমিক আইনে যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান, ইসলামের পারিবারিক উত্তরাধিকার আইনকে নারীদের প্রতি বৈষম্য হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিলুপ্তি চাওয়ায় নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম ও জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। গতকাল পৃথকভাবে এ দাবি জানানো হয়।
হেফাজত : গতকাল রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে অনুষ্ঠিত হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী কমিটির বিশেষ সভা শেষে সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় কিছু বিতর্কিত বিষয় স্থান পেয়েছে। বিশেষ করে বহুত্ববাদের প্রস্তাবনাকে হেফাজত প্রত্যাখ্যান করছে। এ প্রস্তাবনা বাতিল করে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় আপত্তিকরভাবে ধর্মীয় বিধিবিধান, বিশেষ করে ইসলামী উত্তরাধিকার ও পারিবারিক আইনকে নারীর প্রতি বৈষম্যের কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে; এ প্রস্তাবনা বাতিলের পাশাপাশি পুরো কমিশন বাতিল করতে হবে। সেসঙ্গে ভারতে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন, বিশেষ করে দেশটির পার্লামেন্টে সম্প্রতি যে ওয়াক্ফ আইন সংশোধনী পাস হয়েছে, সেটি বাতিল করতে ভারত সরকারের কাছে দাবি জানানোর জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
জমিয়ত : এক যৌথ বিবৃতিতে নেতারা বলেছেন, শ্রমিক আইনে যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান, ইসলামের পারিবারিক উত্তরাধিকার আইনকে নারীদের প্রতি বৈষম্য হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিলুপ্তি চাওয়া সরাসরি ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান। একটি মুসলিম সংখ্যগরিষ্ঠ দেশে কুরআনবিরোধী এ ধরনের আইন করলে মুসলিম পরিচয় দেওয়ার অধিকারও থাকে না। স্বাভাবিক কারণে এসব ইসলামবিরোধী প্রস্তাবনা কার্যকর তো দূরের কথা, আগে নারীবিষয়ক এই সংস্কার কমিশন বাতিল করতে হবে।
নারীবিষয়ক সুপারিশমালা বাতিলের দাবি জামায়াতের : নারীবিষয়ক সুপারিশমালা অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার গতকাল এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান। তিনি বলেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালা পবিত্র কোরআনের বিধানের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক এবং ইসলাম ও মুসলিম পরিচয়ের অস্তিত্বের ওপর সুপরিকল্পিত আঘাত।