বিশিষ্ট হারবাল গবেষক ডা. আলমগীর মতি বলেছেন, নিম একটি মহৌষধ। বিজ্ঞানীরা নিমকে ঘরের ডাক্তার উপাধি দিয়েছেন। কৃমি, পোকামাকড়, মশা, উকুন, খুশকি দূর, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধি, পরিবেশবান্ধব কীটনাশক তৈরি, বাতাসের দূষণ কমানো, দাঁতের নানা সমস্যা দূর করাসহ হাজারটা উপাকারী গুণ আছে গাছটির। আমরা অনেকে জানি না। অনেকে তেঁতো বলে এড়িয়ে চলি। সত্যি বলতে তেতো গাছটি আমাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।
তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আফগানিস্তানের ডায়াবেটিস রোগীরা ইনস্যুলিন না নিয়ে নিমপাতা, নিশিন্দাপাতা খান। অনেকে মধু দিয়ে খান। প্রতিদিন নিমপাতার বড়ি বানিয়ে খেলে ডায়াবেটিসের ওষুধ লাগবে না। নিমের তেল ব্যবহার করলে সেখানে পোকামাকড়, মশা কিছু আসবে না। নিমপাতা বা নিমের মেসওয়াক দিয়ে দাঁত মাজলে সেই দাঁতে ক্ষয় হয় না। দাঁত, মুখ ও কণ্ঠনালির সব রোগ প্রতিরোধ করা যায় নিম দিয়ে। নিমপাতা দিয়ে অত্যন্ত উন্নতমানের পরিবেশবান্ধব কীটনাশক হয়। কেন তাহলে সেই সুবিধা নেব না? বাংলাদেশে দুই ধরনের নিম গাছ আছে। একটা তেতো নিম। পাতা ও গাছ ছোট। এটার গুণাগুণ বেশি। আরেকটা ঘোড়া নিম বা মিঠা নিম। এটার গুণ একটু কম। এটা দিয়ে সার বানাই। এটা মাটিতে দিলে কোনো পোকামাকড় গাছের শিকড়ে আক্রমণ করে না। আরও অনেক ব্যবহার আছে। সৌদি আরবে প্রচুর নিম গাছ লাগানো হচ্ছে। সহজে মারা যায় না। ডাল লাগালেই গাছ হয়ে যায়। ২০ বছর আগেও হজে গিয়ে নিমের ছায়ায় বসেছি। নিমের ছায়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য, অক্সিজেনের জন্য উপকারী। গ্রামে এখন অনেকে নিম গাছ লাগাচ্ছে। আমরা সারা বাংলাদেশ থেকে নিমপাতা কিনছি। আমার নিম সার প্রতি মাসে ২০-৩০ টন বিক্রি হয়। শহরের বাতাস খুবই দূষিত। এখানে প্রচুর নিম গাছ লাগালে বাতাসের দূষণ কমবে, মানুষের রোগব্যাধি কমবে।