ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় চাঞ্চল্যকর মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক (বহিষ্কৃত) আল-আমিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার দুপুরে ভোলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোহান সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে সোহান সরকার জানান, চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার হাসানগঞ্জ এলাকায় গত ৪ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাসুদকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিবেশী হানিফ মাস্টারের ছেলে আল-আমিনসহ একদল সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় নিহত মাসুদের ভাই দুলারহাট থানায় ২০ জনের নামসহ ৪০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি আল-আমিনসহ এ পর্যন্ত মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গত ৩ এপ্রিল রাতে নিহত মাসুদের বাড়িতে মহিলাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় প্রতিবেশী আবু বকরপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আল-আমিন ওই বাড়িতে গিয়ে ঝগড়ার নিষ্পত্তির চেষ্টা করেন। কিন্তু বাড়ির লোকজন তাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এতে আল-আমিন অপমান বোধ করেন এবং ক্ষুব্ধ হন। ওই রাতেই দলবল নিয়ে মাসুদের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর করেন আল-আমিন। পরদিন বেলা ১১টায় দ্বিতীয় দফা হামলা ও ভাঙচুর এবং বাড়ির লোকজনকে ব্যাপক মারধর করেন। এতে নারী-পুরুষসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। এ সময় মাসুদ নিহত হন।
উল্লেখ্য, মাসুদ হত্যাকাণ্ডের দুইদিন পর অভিযুক্ত আল-আমিনকে আবু বকরপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল