জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর বলেন, ধীরে ধীরে আমার সব স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। আমি এখন আমার জীবন উপভোগ করছি। এখন তো সিনেমা কম হচ্ছে। তাই সিনেমার গানও কম। স্টেজ শো, অ্যালবাম সবকিছুর কাজই কমে গেছে। তবে টেলিভিশন লাইভে গান করছি। স্টেজ শোতেও হাজির হচ্ছি মাঝে মাঝে। ‘পাখির গান’ শিরোনামে একটি গানের ভিডিওর কাজ শেষ করলাম সম্প্রতি। প্লাবন কোরেশির লেখা গানটির সুর করেছেন বেলাল খান। আমার সঙ্গে কণ্ঠও দিয়েছেন বেলাল। ভিডিওতে আমি ও বেলাল ছাড়াও মডেল রয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি ইমরানের সুরে আমি আর রবি চৌধুরী নতুন একটি গান করেছি। এটি লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন।
এই গানটিও রোমান্টিক রিদমিক। ১৯৯৪ সালে ‘বিদ্রোহী বধূ’ সিনেমার মাধ্যমে আমি প্রথম প্লেব্যাক করি। আমার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ২৫০-৩০০ এর বেশি সিনেমায় গান করেছি। গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছি। আর কত কাজ করব। এর চেয়ে বেশি চাওয়া লোভ হয়ে যাবে। শোবিজ ক্যারিয়ারের শুরুতে শিশু শিল্পী হিসেবে
শ্রদ্ধেয় প্রয়াত আমজাদ হোসেন আঙ্কেলের ‘ভাত দে’ ছবিতে অভিনয় করে সেরা শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। আগে যখন কাজ করেছি, তখন অনেক কাজ ছিল। সবাই সবার কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিল। এখন যারা নতুন মিউজিক ডিরেক্টর তাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগও নেই। যোগাযোগ গ্যাপের কারণে তারা হয়তো গানে আমাকে ডাকতেও বিব্রতবোধ করে। এখন যারা গান করছেন তারা সবাই আমার ছোট ভাই-বোন। বর্তমানে আমি আমার এ সময়টাকে দারুণভাবে এনজয় করছি। আমার দুই মেয়ে দেশের বাইরে থাকে। গত ৯ আগস্ট ওরা দেশে এসেছে। ওদের নিয়েই সুন্দর সময় কাটছে। আগে তো অনেক কাজ ছিল। কাজটাই একটা নেশা হয়ে গিয়েছিল। পরিবারকে একেবারেই সময় দিতে পারিনি। এখন সেই সময়টা পাচ্ছি। নিজের মতো করে জীবনটাকে উপভোগ করছি। গত ডিসেম্বরে ওমরাহ করে এসেছি। আমার যেসব স্বপ্ন ছিল, সেগুলো আস্তে আস্তে পূরণ হচ্ছে। আর কত কাজ করব। ৩১ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ার আমার। এই ক্যারিয়ারে কম কাজ তো করিনি।