আওয়ামী লীগের হিংসা-বিদ্বেষ-দমন-পীড়নের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করে আগামীতে শান্তির রাজনীতি ও ধৈর্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
তিনি আরও বলেন, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে, ইতিহাস কখনো ক্ষমা করে না। আজ আওয়ামী লীগ তাদের কুকর্মের জন্য আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ হয়েছে। তবুও তাদের অনুশোচনা নেই। আওয়ামী লীগ আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখছে, তারা পরাশক্তিকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছে, কিন্তু তাদের আকাশ কুসুম স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়ন হবে না।
শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মতিন চৌধুরীর ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি মতিন চৌধুরীর স্মৃতিচারণ করে বলেন, আধুনিক রূপগঞ্জ ও পূর্বাচল উপশহরের স্বপ্নদ্রষ্ট্রা ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মতিন চৌধুরী। রূপগঞ্জের মানুষ এই পূর্বাচল উপশহর গড়ার বিরোধিতা করেছিলেন, তারা বুঝতেই পারেনি এই পূর্বাচল একদিন আধুনিক শহর হবে। আজ পূর্বাচলকে ঘিরেই আশপাশের এলাকায় কত শত উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে। অথচ উপজেলার কোনো স্থাপনায় মতিন চৌধুরীর নামফলক বা স্বৃতি চিহ্ন। এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জিম্মি করে অর্থ পাচার ও লুটপাট করেছে শেখ পরিবার, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। বিগত সময়ে তারা পরিবারতন্ত্র কায়েম করেছে। আর পরিবারতন্ত্রের মাধ্যমে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করলে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করবে।
ড. মঈন খান বলেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না, বিএনপি সবসময় ধৈর্যের রাজনীতির শিক্ষা দেয়। রাজনীতিতে সহনশীলতা ও ভাতৃত্বের বন্ধন সৃষ্টি করাই বিএনপির লক্ষ্য। আগামী নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করলে অতীতের মতো নীতির সাথে কখন আপোষ করবে না। সকল প্রকার অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে এবং অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
স্মরণসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম ইমনের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন, জেলা যুদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়য়ক মাহবুবুর রহমান, জেলা কৃষক দলের সভাপতি শাহিন মিয়া, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হামিদুল হক খান, তারাবো পৌর যুবদলের সদস্য সচিব কাজী আহাদ, জেলা ছাত্রদল নেতা আবু মোহাম্মদ মাসুম, সুলতান মাহমুদ, কাঞ্চন পৌর যুবদল নেতা সানাউল্লাহ মান্নান সানি প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত