বরিশালের বাকেরগঞ্জের রাঙামাটি নদীর গোমা ফেরিঘাট এলাকায় নির্মাণাধীন গোমা সেতু ডিসেম্বরে চালু হচ্ছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সেতুর একটি স্প্যান বসানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার আরও একটি স্প্যান বসানো হলে প্রায় ছয় বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটবে। ফলে আশায় বুক বেঁধেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
২০১৮ সালে বরিশালের দিনারের পুল-লক্ষ্মীপাশা-দুমকি আঞ্চলিক সড়কের ১৪তম কিলোমিটারে ২৮৩.১৮৮ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। তিন বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নকশা পরিবর্তন, জমি অধিগ্রহণ ও নদীর ধারা পরিবর্তনসহ নানা জটিলতায় প্রকল্পে গতি কমে যায়। ফলে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। যা প্রাথমিক প্রকল্প ব্যয়ের তুলনায় প্রায় ৩৪ কোটি টাকা বেশি। ২০২০ সালে সেতুর উচ্চতা নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ আপত্তি জানালে পুরো প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়। পরে সংশোধিত নকশা ও নতুন বাজেট অনুমোদনের পর পুনরায় কাজ শুরু হয়।
বরিশাল সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, বারবার নকশা পরিবর্তন করতে হয়েছে। এখন কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। মঙ্গলবার প্রথম স্প্যান বসানো হয়েছে। আশা করছি, বৃহস্পতিবার আরেকটি বসাতে পারব। ডিসেম্বরের মধ্যেই সেতুটি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু না থাকায় নদী পারাপারে একটি মাত্র ফেরির ওপর নির্ভর করতে হয়। কোনো কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ হলে ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, বছরের পর বছর ধরে মানুষ জিম্মিদশায় আছে। সেতুটি চালু হলে এ অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন হবে।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি