বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার আলোরকোলে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের রাস উৎসব। এতে অন্তত ১০ হাজার পুণ্যার্থীর আগমন ঘটেছে বলে জানান পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। বঙ্গোপসাগরের তীরে ২০০ বছর ধরে চলে আসা এ ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে ঘিরে সুন্দরবনে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। এদিকে রাস উৎসবে আগত তীর্থযাত্রীদের জন্য বনবিভাগ, কোস্টগার্ড, র্যাব, নৌপুলিশসহ চার স্তরের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিপুলসংখক সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে আজ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ গঙ্গাস্নানে অংশ নেবে। এ উপলক্ষে সাধু-সন্ন্যাসী ও রাসভক্তদের পদচারণে মুখর সৈকত। প্রায় ১০০ বছর ধরে এ উৎসব পালন করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এ বছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে উৎসব।
গতকাল রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে আনুষ্ঠানিকতা। রাতভর ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে আজ পূর্ণিমা তিথিতে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটার নীল জলে স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। পরে সেবাশ্রমে ১৭ জোড়া রাধাকৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবে।
এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মদনমোহন মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক দোকান। পাঁচ দিনব্যাপী এসব দোকানে নানা পণ্য বিক্রি হবে।
শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদ্যাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব হলেও এখানে মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব সম্পন্ন হবে। কলাপাড়ার ইউএনও কাউসার হামিদ জানান, রাস উৎসব উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।