বগুড়ার শাজাহানপুরে পূজার আনন্দে বিষাক্ত মদপানে অসুস্থ আনসার সদস্য রঞ্জু মিয়াও (৩০) মারা গেছেন। রবিবার (১২অক্টোবর) মধ্যরাতে তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান। এ নিয়ে বগুড়ায় মদপানে অসুস্থ পাঁচ জনেরই মৃত্যু হলো। শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম শফিক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মৃতরা হলেন-শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের খোট্টাপাড়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত মাহবুবুর রহমান মণ্ডলের ছেলে কৃষক মিজানুর রহমান মণ্ডল লিটন (৫০), খোট্টাপাড়া সোনারপাড়া গ্রামের সোনার আবদুল হান্নান খোকার ছেলে সিএনজি অটোরিকশাচালক নাছিদুল ইসলাম (২৭), খোট্টাপাড়া পূর্বপাড়ার সুলতান মাহমুদের ছেলে ট্রাকচালক আবদুল মানিক আকন্দ (৩০), একই গ্রামের আবু বক্করের ছেলে সিএনজি অটোরিকশাচালক আবদুল্লাহ আল কাফী (৩০) এবং মন্টু মিয়ার ছেলে আনসার সদস্য রঞ্জু মিয়া (৩০)।
জানা যায়, গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া মধ্যপাড়া সনাতন ধর্মশালা পূজামণ্ডপের পাশে বেলতলা এলাকায় ওই পাঁচজন একসঙ্গে মদ পান করেন। বাড়িতে ফেরার পর ৩ অক্টোবর সকাল থেকে তাদের বমি ও পেটব্যথা শুরু হয়। পরে তারা জানান, পূজার আনন্দে মদপান করায় অসুস্থ হয়েছেন। স্বজনরা অসুস্থ পাঁচ জনকে পর্যায়ক্রমে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ অক্টোবর রাতে মিজানুর রহমান মণ্ডল লিটন মারা যান। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই লিটনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে নাছিদুল ইসলাম, ১০ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে আবদুল মানিক আকন্দ এবং বিকাল ৫টার দিকে আবদুল্লাহ আল কাফী মারা যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আনসার সদস্য রঞ্জু মিয়াকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানে রবিবার রাত ১টার দিকে তিনিও মারা যান।
শাজাহানপুর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, বিষাক্ত মদপানে অসুস্থ পাঁচজনের সবার মৃত্যু হয়েছে। আনসার সদস্য রঞ্জু মিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারকে দেওয়া হবে। মৃতের স্বজনরা অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ