তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় রংপুরের তিন উপজেলার তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপ চরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে বন্যার আশঙ্কায় নদীর তীরবর্তী এলাকায় সতর্ক বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গেল কয়েক দিন ধরে উজানের পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। বুধবার বেলা ১২টায় তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অপরদিকে সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি পেলেও বেলা ১২টায় কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এতে করে গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী, আলমবিদিতর, কোলকোন্দ, লক্ষ্মীটারী, গজঘন্টা ও মর্ণেয়া ইউনিয়ন, কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া, টেপামধুপুর ইউনিয়ন এবং পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল, চর, দ্বীপচরের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। বন্যার আশঙ্কায় অনেকে ঘরবাড়ি নিয়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের আনসার আলী বলেন, নদীর পানি বাড়া-কমাতে ভাঙন শুরু হয়েছে। সেতু রক্ষা বাঁধ ভাঙছে। এলাকার জমিগুলোও তো ভেঙে গেছে। কত দিন ধরে শুনে আসছি যেন তিস্তা প্রজেক্ট হবে, কিন্তু হয় তো আর না।
গঙ্গাচড়া লক্ষ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, ভারত থেকে ধেয়ে আসা পানির কারণে তিস্তা নদীতে পানি বাড়ছে। আজ দিনভর তিস্তা নদীর পানি বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। আমি আমার ইউনিয়নবাসীকে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রংপুর বিভাগের পঞ্চগড়ে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেই সাথে উজানে ভারতের আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বুধবারও দিনভর রংপুর বিভাগে এবং তিস্তার উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তাই তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল