হবিগঞ্জ শহরে চুরি-ছিনতাইসহ অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো বাসা বাড়ি বা দোকান পাটে চুরির ঘটনা ঘটছে। এমতাবস্থায় চুরি ছিনতাইরোধে হবিগঞ্জ শহরে রাত ১২টার পর থেকে সকল দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
হবিগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি (ব্যক্স) এর নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেন জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জরুরি সেবা ছাড়া সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- গত কিছুদিন যাবত হঠাৎ করে হবিগঞ্জ শহরে বাসা বাড়িতে চোরদের উপদ্রব বেড়েছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো পাড়া মহল্লায় ঘটছে চুরির ঘটনা। আর এতে করে খোয়া যাচ্ছে নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। গত ১ মাসে হবিগঞ্জ শহরে অন্তত ১৫টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। সবশেষ শুক্রবার দিবাগত রাতে শহরের স্টাফ কোয়ার্টার রোড এলাকায় অবস্থিত হবিগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মানিক চৌধুরী পাঠাগারে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে পাঠাগারে থাকা আইপিএস’র ব্যাটারিসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। যার অনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা।
এদিকে- চুরি ছিনতাই রোধে পুলিশের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। টহল জোরদার করা হয়েছে পাড়া মহল্লার ভেতরে। এমনকি রাত ১২টার পর কাউকে রাস্তায় বের হলেই পড়তে হচ্ছে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে। পুলিশ বলছে- অপরাধীরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করে তারা টং দোকানগুলোতে বসে চা সিগারেট খায় আর চুরির বিষয়টি টার্গেট করে। তাই এসব অপরাধ দমনে পুলিশ আগের থেকে অনেক সক্রিয় হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি একেএম শাহাবুদ্দিন শাহীন জানান, রাত ১২টার পর চা এবং বিভিন্ন স্টেশনারী দোকানপাট খোলা রাখা যাবে না। কারণ এসব দোকানে বসে চোর ও ছিনতাইকারীরা পুলিশকেও টার্গেট করে। যার ফলে পুলিশ অপরাধীদের ধরতে পারে না কিংবা দোকানে বসে থাকলে কিছু বলাও যায় না। ওসি আরও জানান, চুরি ছিনতাইরোধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল