১০ দিন বন্ধ থাকার পর বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫২৫ মেগাওয়াটের তৃতীয় ইউনিটটি থেকে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) দিবাগত রাত ৮টা থেকে এ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট সম্পন্ন ৩য় ইউনিট থেকে ১৬০-১৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
তবে একইদিন সকালে বয়লারের পাইপ ফেটে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১নং ইউনিটটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এটি সচল হতে ৩-৪দিন সময় লাগবে বলে জানান বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক।
এর আগে ২১ জুলাই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, তৃতীয় ইউনিটটি চালু রাখার জন্য প্রতিদিন ১৭০০ টন কয়লা দরকার পড়ে। এটি চালু হওয়ায় উত্তরাঞ্চলে লোডশেডিং অনেকটা কমবে। এর আগে গত ২১ জুলাই ভোরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তৃতীয় ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়। ওই দিনই দুপুরে ১নং ইউনিটও বন্ধ হয়। পরে ২২ জুলাই রাত ১২টার দিকে ১নং ইউনিটটি পুনরায় চালু করে প্রতিদিন ৬০-৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল। এই ইউনিট চালু রাখতে ৭০০-৮০০ টন কয়লা প্রয়োজন হয়। তবে বুধবার বয়লারের পাইপ ফেটে যাওয়ায় ১নং ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়। এটি সচল করতে ৩-৪দিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
এদিকে বড়পুকুরিয়ার ১২৫ মেগাওয়াটের ২নং ইউনিটটি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এটি সচল থাকলে দৈনিক ৬৫-৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতো।
উল্লেখ্য, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ওপর নির্ভরশীল। খনির কোল ইয়ার্ডে বর্তমানে প্রায় ৩ লাখ ৯০ হাজার টন কয়লা মজুত রয়েছে। পুরো ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন সচল রাখতে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন হয়। তবে কখনো একসঙ্গে তিনটি ইউনিট চালু রাখা সম্ভব হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ