ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অবৈধ লেভেল ক্রসিং বন্ধ করতে বাধা দিয়েছে এলাকাবাসী। পথ খোলা রাখার দাবি জানিয়ে এক পর্যায়ে এলাকাবাসী দু’টি ট্রেন আটকে দেয়। এতে প্রায় আধা ঘণ্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। আটকে পড়া ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তবে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পথটি বন্ধ না করেই ফিরে গেছে।
লেভেল ক্রসিংটি অবৈধ হওয়ায় বুধবার সকাল ১০টার দিকে মনিয়ন্ধ ইউনিয়নের গিরিশনগরে রেলওয়ের লোকজন চলাচলের পথটি বন্ধ করতে আসে। এলাকার কয়েকজন এসে এতে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে অনেক লোক জড়ো হয়ে পথ বন্ধ না করতে বলেন। বেলা পৌণে ১১টার দিকে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ও ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস আটকে দেন। এতে যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। এরই মধ্যে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে সমাধানের আশ্বাস দেন এলাকাবাসীকে। ওই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে প্রায় আধা ঘন্টা ট্রেন দু’টি ছেড়ে যায়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস. এম. শফিকুল ইসলাম বলেন, লেভেল ক্রসিংটি অবৈধ হওয়ায় কর্তৃপক্ষ সেটি বন্ধ করতে আসেন। তবে এলাকাবাসী এতে বাধা দেন। এ অবস্থায় দু’টি ট্রেন সামান্য সময়ের জন্য আটকা পড়ে। বিষয়টির সমাধান করা হবে বলে এলাকাবাসীকে আশ্বস্থ করা হয়েছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর আখাউড়ার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের দীঘিরজান এলাকার পাশে গিরিশনগরে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কায় পপি আক্তার (২৩) ও সাদিক মিয়া (৩৭) নামে দু’জন নিহত হন। দু’জনের বাড়ি কসবা উপজেলায়। পপি আক্তারকে বহনকারি সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক সাদিক মিয়া বৃষ্টির মধ্যে ট্রেন দেখতে না পেয়ে অবৈধ লেভেল ক্রসিংয়ের রেললাইনে উঠিয়ে দেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম